1) ঈমানদারদের জন্যে স্বীয় বাহু নত করুন। ===>>
لَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَىٰ مَا مَتَّعْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِّنْهُمْ وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِلْمُؤْمِنِينَ [١٥:٨٨]
আপনি চক্ষু তুলে ঐ বস্তুর প্রতি দেখবেন না, যা আমি তাদের মধ্যে কয়েক প্রকার লোককে ভোগ করার জন্যে দিয়েছি, তাদের জন্যে চিন্তিত হবেন না আর ঈমানদারদের জন্যে স্বীয় বাহু নত করুন।
2) "তুমি উপদেশ দিতে থাকো
অবশ্যইউপদেশ ইমানদার দের উপকারে আসে।
আমি মানুষ ও জীন জাতীকে
আমার ইবাদত করা ছাড়া
অন্য কোন উদ্দেশ্য সৃষ্টি করিনি."
(( আল কুরআন ৫১/ ৫৫,৫৬ ))
3) #Death & Life ===========>>
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [٦٧:١]الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ۚ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ [٦٧:٢]
পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান।
যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।
Sura Mulk : Ayah 1-2
4) প্রশ্ন (২৫/২৬৫) : যথাযথ পর্দা বলতে কি বুঝায়? স্ত্রীকে কিভাবে পর্দায় রাখলে স্বামী জান্নাতের আশা করতে পারে?
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে পর্দা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবে পর্দা করাই হচ্ছে যথার্থ পর্দা। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাঁদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন এমনভাবে পদচারণা না করে যাতে তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ পায়’ (নূর ৩১)।অনুরূপভাবে তাদেরকে নিজেদের ঘরে অবস্থান করতে হবে। অন্য লোকদের সাথে কথা বলার সময় নরম সুরে কথা বলা যাবে না (আহযাব ৩২-৩৩)। প্রয়োজনে বাড়ীর বাইরে যেতে হ’লে গায়ে বড় চাদর ঝুলিয়ে (বোরকা পরে) পুরা শরীর ঢেকে যেতে হবে’ (আহযাব ৫৯)। কারো কাছে কিছু চাইতে হ’লে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে’ (আহযাব ৫৩)। উপরোক্ত নিয়মে স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে পর্দায় রাখলে তিনি জান্নাত লাভের আশা করতে পারেন। LINK
5) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দান করবেন...?
অনেকেই মনে করেন, যদি আমরা রাস্ট্র চালানোর যোগ্য হই তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তারঁ ওয়াদা মোতাবেক ক্ষমতা দান করবেন। এমন কথা কোথায় পাওয়া গেল? সুরা নুর এর ৫৫ নং আয়াতে কি আল্লাহ এমনই ওয়াদা করেছেন? না এমন নয়। বরং বলেছেন, খলীফা বানাবেন, স্থায়িত্ব দেবেন এবং ভয় দূর করে নিরাপত্তা দেবেন। সেখানে ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয় নাই। এমন কি অন্য কোন আয়াতেও ক্ষমতা বলতে যা বলা হয়ে থাকে তা বলা হয়েছে বলে নজরে পরে নাই। আমরা দ্বীনের স্থায়িত্ব পেয়েছি, খলীফা হয়েছি, নিরাপত্তাও পেয়েছি।ولقد مكناكم في الأرض وجعلنا لكم فيها معايش قليلا ما تشكرون –الأعراف/10
তোমাদেরকে অবশ্যই জমিনে স্থায়িত্ব দিয়েছি, সেখানে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করেছি, তোমরা অল্পই শুকরিয়া কর থাকো-(আ’রাফ/১০)।
ثم جعلناكم خلائف في الأرض من بعدهم لننظر كيف تعملون – يونس/14
অতপর তোমাদেরকে খলীফা বানিয়ে দিয়েছি তাদের পরে; যাতে দেখে নিতে পারি যে কিভাবে কি করো-(ইউনুস/১৪)।
আমাদের আমলের কারণেই এখানে সেখানে, সময়ে সময়ে ঐ সব সুবিধা গুলি নড়বরে হয়ে যায়। কাজ ঠিক হয়ে গেলে আশা করা যায় ঐ সব সুবিধা গুলি আমরা আবার পুরোটাই ফেরত পাবো ইনশাআল্লাহ।
দুঃখের বিষয় যে এই সব অর্থগুলির ভুল ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষ শ্রেণীর লোকেরা। এবং তা সহজে হজম করে নিয়েছেন অন্যেরা। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে তার দ্বীন বুঝার তাউফিক দান করুক এই কমান করি। LINK
No comments:
Post a Comment