1) হাক্কপন্থীদের খুঁজে নেওয়ার জন্য নিচের একটা হাদীসই যথেষ্ট হবে।
" যে ব্যক্তি লোকদেরকে অসন্তুষ্ট করেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, সে ব্যক্তির জন্য লোকদের কষ্টদানে আল্লাহই যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে লোকদের সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, আল্লাহ তাকে লোকদের দিকেই সোপর্দ করে দেন। "
(তিরমিযী, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৩১১)
2) ইমাম মাহদির খিলাফত ====>>
“পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)3) কালো পতাকা ===>>
“যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”। (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)4) ইমাম মাহদি ===>>
“ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন),
5) কালো পতাকা ===>>
“শেষ পর্যন্ত আল্লাহ পাক পূর্বদিক থেকে কালো পতাকাবাহী লোকদেরকে পাঠাবেন। যারা ঐ কালো পতাকাবাহী লোকদেরকে সাহায্য করল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে সাহায্য করবেন। যে তাকে ছেড়ে দিল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে ছেড়ে দেবেন। তারপর ঐ কালো পতাকাবাহী দল এমন এক ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) এর কাছে আসবে – যার নাম আমার নামের মতো হবে। তারা ঐ ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) এর উপর শাসনব্যবস্থার দায়িত্ব সোপর্দ করবে। সুতরাং, আল্লাহ তায়ালাও তাদেরকে সহযোগিতা করবেন”।(আলফিতান, নুয়া’ইম ইবনে হাম্মাদঃ ৮৬০)
6) কালো পতাকা ===>>
“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)
7) কুরআন ===>>
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন কুরআন আবির্ভূত হয়ে বলবে, হে রব, (তিলাওয়াতকারীকে) আপনি সুসজ্জিত করুন। তখন তাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। তারপর বলবে, হে রব, আপনি আরও বৃদ্ধি করুন। তখন তাকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে। অতপর বলবে, হে রব, আপনি তার ব্যাপারে সন্তুষ্ট হয়ে যান। তখন আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। তারপর বলবে, তুমি পড় এবং ওপরে উঠো। এভাবে প্রত্যেক আয়াতের বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।’[তিরমিযী : ৩১৬৪; শুয়াবুল ঈমান : ১৮৪১]8) একটি হারাম কাজ, উপুড় হয়ে বুকে ভর দিয়ে শোওয়াঃ
একদিন নবী করীম (সাঃ) এক ব্যক্তির নিকট গেলেন। সে তখন উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলো। তিনি তখন নিজ পা দিয়ে তাকে স্পর্শ করে বললেনঃ “এভাবে শোওয়া আল্লাহ আযযা আজাল্ল পছন্দ করেন না।”আহমাদ ২/২৮৭, ইবনে হিব্বান, হাকেম ৪/২৭১।
9) ফরজ আমল ====>>
রাসুল সঃ এর অমর বানী হাদিসে কুদসির প্রতি নজর রাখুনঃوما تقرب إليّ عبدي بشيء أحب إليّ مما افترضته عليه ، ولا يزال عبدي يتقرب إليّ بالنوافل...البخاري:6502.
আল্লাহ বলেন, আমার নৈকট্য লাভের জন্যে ফরজ করা আমল গুলোর প্রতি যত্নবান হওয়ার চেয়ে উত্তম কাজ আর কিছু নেই। অথচ বান্দার স্বভাব হোল সে নফল কাজের মধ্যে দিয়েই আমার নৈকট্য তালাশ করে! – বোখারী/৬৫০২ ।
10) ক্কারী / কুরআন পাঠকারী =====>>
প্রশ্নঃ মুশরিকের আগে জাহান্নামে যাবে যে মুসলমান তার পরিচয় কি?উত্তরঃ যে ক্কারী কুরআন পাঠ করে, অথচ ফাসেকের মত পাপকার্য করে, সে মুশরিকের আগে জাহান্নামে যাবে । --------------- (হাদীস, তিবরানী শরীফ)
11) হযরত আনাস (রাঃ) বলেন,আমি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি তিনি ইরসাদ করেন-
“আমার উম্মত কখোনো গোমরাহীর উপর একমত হবে না । সুতরাং যখন তোমরা মতবিরোধ দেখ তখন তোমরা বড় জামা'আতের অনুসরন কর।”---- (ইবনে মাযাহ হাদিস নং ২৮৬) ”
No comments:
Post a Comment