Friday, August 22, 2014

ইসলামে ডিভোর্স পাঁচ ধরনের হয়ে থাকে - - - - -


Source LINK 
প্রশ্নঃ কেবল স্বামীই কি স্ত্রীকে ‘তিন তালাক’ দিতে পারে? যদি কোন নারী তালাক বা ডিভোর্স নিতে চান তাহলে তাকে কি করতে হবে?

উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ

একজন পুরূষ তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে পারে কিন্তু একজন নারী ও কি তার স্বামীকে ডিভোর্স বা তালাক দিতে পারে? একজন মহিলা তালাক দিতে পারেনা। কারণ ‘তালাক’ শব্দটি আরবি যেটা ‘ডিভোর্স’ অর্থে ব্যাবহার করা হয়- যা স্বামী স্ত্রীকে দিতে পারে, কিন্তু স্ত্রী-স্বামীকে দিতে পারবেনা।
ইসলামে ডিভোর্স পাঁচ ধরনের হয়ে থাকে।

প্রথমঃ এ চুক্তির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই বলবে ব্যাস আমরা আর একসাথে ঘর করার মত উপযুক্ত নই- চল আমরা উভয়কে ছেড়ে দেই।

দ্বিতীয়ঃ এই প্রকার তালাক স্বামীর একক ইচ্ছায় হবে। যেখানে স্বামীকে তার স্ত্রীর প্রদেয় মোহর পরিশোধ করতে হবে এবং স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে প্রদেয় উপহারও ফিরিয়ে দিতে হবে।

তৃতীয়ঃ স্ত্রীর একক ইচ্ছায় ডিভোর্স দেয়া। যদি তার বিয়ের চুক্তিতে তথা তার নিকাহনামায় এটি উল্লেখ থাকে তবে এককভাবে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবে- এটাকে বলা হয় ‘ইসমা’

চতুর্থঃ এ পদ্ধতিটি হলো, স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করে অথবা তাকে ন্যায্য অধিকার না দেয় তখন স্ত্রীর কাজীর কাছে যাওয়ার অধিকার আছে। এবং বিয়ে বাতিল করার আবেদন জানাতে পারবে। একে বলে ‘নিকাহ-ই-ফাসেদ’। তখন কাজী স্বামী কে পুরো মোহর পরিশোধ করার জন্য বলবে।

পঞ্চমঃ এ পদ্ধতিটেকে বলা হয় “খোলা”। এক্ষেত্রে যদিও স্বামী সব দিক থেকে ভাল হয় এবং তার সম্পর্কে স্ত্রীর কোন অভিযোগ না থাকে তথাপি তার ব্যাক্তিগত কারণে স্বামীকে পছন্দ করেনা- তখন সে স্বামীকে অনুরোধ করতে পারে তাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য। আর এটাই হলো ‘খোলা’।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নারী যে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার এ পদ্ধতিগুলো গ্রহন করতে পারে সে কথা খুব কম লোকই বলে। কিছু আলেম-ওলামা আছেন যারা এ পাঁচ ধরনের ডিভোর্স কে ২ বা ৩ ভাগে ভাগ করেন; কিন্তু ব্যাপক অর্থে ইসলামে তালাক পাঁচ প্রকার।


No comments:

Post a Comment