Friday, August 8, 2014

ইসলামে স্থান-কাল-পরিবেশ ও পরিস্থিতি

Source LINK
ইসলামে স্থান-কাল-পরিবেশ ও পরিস্থিতি...

স্থান-কাল-পাত্র-পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে ইসলাম বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। সকলের শক্তি যেমন সমান নয়। শক্তি প্রয়োগের স্থান-কাল-পরিবেশ-পরিস্থিতি ও এক নয়।
আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সঃ হয়ত এজন্যেই সামর্থানুসারে আমাদেরকে মুনকার বা অকল্যাণ দমনের আদেশ করেছেন। তাই আমরা যেখানে যতটুকু সম্ভব ঠিক ততটুকু করলেই আল্লাহ খুশী থাকবেন অধিক কিছু করার প্রয়োজন হয়না। বেশী করতে গেলে হিতে বিপরীত হয় তা কারো কাছে অজানা নয়।
এক সময় ছিল যখন শক্তি দিয়ে ক্ষমতা দখল করলে কেউ উরে এসে ঝাপটে ধরত না। এমন এক সময় ছিল যখন রাষ্ট্র প্রধানের দোষ ব্যক্ত করলেও কোন ভয়ের উদ্রেগ হত না। কিন্তু এখন আর সে দিন নেই। সকল দেশের ও সমাজের অবস্থা এক রকম নয়। ইসলাম তাই এই ভেদাভেদকে গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদেরকে তা বুঝেই ইসলামের কাজ করতে হবে।
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنْفِقُوا خَيْرًا لِأَنْفُسِكُمْ- التغابن/16
সুতারাং তোমরা সাধ্যানুসারে আল্লাহর তাকওয়া করো, শোন এবং অনুসরণ করো আর নিজের কল্যাণে খরচ করো- ( তাগাবুন/১৬)।
من رأى منكم منكرا فليغيره بيده ، فإن لم يستطع فبلسانه ، فإن لم يستطع فبقلبه ، وذلك أضعف الإيمان ) مسلم ).
‘’তোমরা যখন কোন অশুভ বা কদর্য কাজ দেখবে তখন তা বদলে দেবে শক্তি প্রয়োগ করে (যদি শক্তি প্রয়োগের ক্ষমতা থাকে)। আর যদি তা না থাকে তাহলে কথায় উপদেশ দিবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে মন দিয়ে যা করা সম্ভব তাই করবে। আর এটা হল ইমানদারের ইমানি পরিচয় বহনের জন্যে ন্যূনতম অবস্থান’’-(মুসলেম)।
এই আয়াত ও হাদিসের মর্মার্থ সঠিক ভাবে বুঝলে দুনিয়ার কোথায়ও মুসলমান হিসেবে অবস্থান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কোন বাঁধা আসবে বলে মনে হয়না।

No comments:

Post a Comment