Sunday, August 10, 2014

Quotes 2014 8 D

1) কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেন- আল্লাহ্‌ আছেন আকাশে আরশের উপর।।

Mulla `Ali al-Qari states in Sharh `ayn al-`ilm:
It is obligatory that you believe that your God... is not contained in any place or direction. =====>>
http://www.sunnah.org/aqida/aqida8.htm
1-a) আল্লাহ্‌ তালা সর্বত্র বিরাজমান নয়--
 কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেন- আল্লাহ্‌ আছেন আকাশে আরশের উপর।।


কুরানে আল্লাহ কি বলেছেন--

====তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন । [তোয়া হা ৫]

==== “যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।“ [মুমিন ৭]

====এবং ফেরেশতাগণ আকাশের প্রান্তদেশে থাকবে ও আট জন ফেরেশতা আপনার পালনকর্তার আরশকে তাদের উর্ধ্বে বহন করবে। [হাক্ক্ ১৭]

====আয়াতগুলো প্রমাণ করে যে আল্লাহ আরসে সমাসীন আছেন । তিনি সর্বত্র বিরাজমান নন । তবে তার জ্ঞান সর্বত্র বিরাজমান । তিনি সবকিছু দেখেন ।

==== আল্লাহ নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান কথাটি হিন্দু ধর্ম হতে এনে ইসলাম শিক্ষার মধ্যে ঢুকানো হয়েছে । নিম্নে তার প্রমাণ দেয়া হল: মাধ্যমিক হিন্দু ধর্ম শিক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেকস্টবুক, ঢাকা । চতুর্থ পাঠ ঈশ্বরবাদ ২৩, ২৪, ২৫ পৃষ্ঠা । ব্রহ্ম ঈশ্বর । তিনি এক অদ্বিতীয় । তিনি নিরাকার ও সর্বব্যাপী । LINK

2) Preaching Islam through Peace TV Bangla ====>>


ইদানিং জনাব মতিউর রহমান মাদানী সাহেবের ওয়াজ শোনা হল ( ৩১ শে অক্টোবর , ২০১২ ) -------- অডিও এবং ভিডিও তে । বাংলাদেশে নানা রকম বেদআত - শিরক এর বিরুদ্ধে তার বক্তব্য ধারাল । মনে মনে ভাবলাম ---- ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এমন কঠোরতার যৌক্তিকতা রয়েছে । পরে বেশ কিছু বিষয় আমার কাছে পছন্দ হল না। নীচে কয়েকটি আপত্তি উল্লেখ করছি ।
ক) তিনি বেনামাজী কে সরাসরি কাফের / মুরতাদ বলেছেন ।
Source : Audio No. 113 - Part-1, Tablig Jamat , @ 1hour 19 min

খ) তিনি বেনামাজীর জবাই করা পশুর গোস্ত খাওয়া যাবে না বলেছেন ; তার হিসাবে বেনামাজী ব্যক্তি ইহুদী - খ্রিস্টানের চেয়েও খারাপ । ইহুদী - খ্রিস্টানের জবাই করা গোস্ত খাওয়া যাবে ।
Source : Audio No. 110 - Part-1, Rasul Shomporke Shothik Gan Hasil Kora

গ) তার হিসাবে সব শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রাপ্ত মুসলমানটিও
নামাজী হবে । অর্থাৎ , সকল বেনামাজী - ই চিরকাল জাহান্নামে থাকবে ।
( নবী সাঃ এর শাফায়াতে কুবরা তাদের কোন কাজে আসবে না । )

তার ওয়াজের লিঙ্ক ==== >>
http://www.tunerpage.com/archives/112963
3) আলেমগণের মতপার্থক্য ====>>

ইমাম ইবনে আবী হাতেম ইমাম মালেক থেকে বর্ণনা করেন যে, খলীফা আবু জাফর মানসুর আগ্রহ প্রকাশ করলেন যে, আমি চাই গোটা মুসলিম সাম্রাজ্যে এক ইলমের (অর্থাৎ মুয়াত্তা মালিকের) অনুসরণ হোক। আমি সকল এলাকার কাযী ও সেনাপ্রধানের নিকট এ ব্যাপারে ফরমান জারি করতে চাই।

ইমাম মালেক রাহ. বললেন, ‘জনাব! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ উম্মতের মাঝে ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জনপদে সেনাদল প্রেরণ করেছেন, কিন্তু ইসলামের দিগ্বিজয়ের আগেই তাঁর ওফাত হয়ে গেছে। এরপর আবু বকর খলীফা হয়েছেন। তাঁর আমলেও বেশি কিছু রাজ্য বিস্তার হয়নি। এরপর উমর খলীফা হয়েছেন। তাঁর সময়ে প্রচুর শহর ও জনপদ বিজিত হয়েছে। তিনি সেসব বিজিত এলাকায় শিক্ষা-দীক্ষার জন্য সাহাবীগণকে প্রেরণ করেছেন। সেই সময় থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত (প্রত্যেক জনপদে সাহাবীগণের শিক্ষাই) এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্ম পর্যন্ত পৌঁছেছে।

‘অতএব আপনি যদি তাদেরকে তাদের পরিচিত অবস্থান থেকে অপরিচিত কোনো অবস্থানে ফেরাতে চান তবে তারা একে কুফরী মনে করবে। সুতরাং প্রত্যেক জনপদকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দিন এবং নিজের জন্য এই ইলমকে (মুয়াত্তা মালেক) গ্রহণ করুন।’

আবু জাফর তাঁর কথা মেনে নিলেন।’-তাকদিমাতুল জারহি ওয়াত তাদীল ২৯

ইবনে সা’দের বর্ণনায় ইমাম মালেকের বক্তব্যে উল্লেখ আছে যে-

يا أمير المؤمنين! لا تفعل هذا، فإن الناس قد سبقت إليهم أقاويل، وسمعوا أحاديث، ورووا روايات، وأخذ كل قوم بما سبق إليهم وعملوا.

ইয়া আমীরাল মুমিনীন! এমনটি করবেন না। কেননা, লোকেরা (সাহাবীগণের) বক্তব্য শুনেছে, হাদীস শুনেছে, রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছে এবং প্রত্যেক জনগোষ্ঠী তাই গ্রহণ করেছে, যা তাদের নিকট পৌঁছেছে এবং তদনুযায়ী আমল করেছে।’-আততবাকাত ৪৪০

(القسم المتمم)

খতীব বাগদাদীর বর্ণনায় আছে, ইমাম মালেক বলেন-

يا أمير المؤمنين! إن اختلاف العلماء رحمة من الله تعالى على هذه الأمة، كل يتبع ما صح عنده، وكل على هدى، وكل يريد الله تعالى.

ইয়া আমীরাল মুমিনীন! নিঃসন্দেহে আলেমগণের মতপার্থক্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এ উম্মতের জন্য রহমত। প্রত্যেকে তাই অনুসরণ করে, যা তার নিকট সহীহ সাব্যস্ত হয়েছে, প্রত্যেকেই হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং প্রত্যেকেই আল্লাহর (সন্তুষ্টি) কামী।’-কাশফুল খাফা, আলআজলূনী ১/৫৭-৫৮; উকূদুল জুমান, আসসালেহী ১১
=====================================>>
4) Islamic Quote on #EndTime .....  
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, একদা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ ভাষণ দান কালে বলেন,

" অচিরে-ই তোমাদের পর এমন এক জাতি আসবে , যারা প্রস্তরাঘাতে হত্যা-বিচার অস্বীকার করবে এবং তারা ফিতনায়ে দাজ্জাল , হাশরের ময়দানে নবীজীর সাঃ সুপারিশ, কবরের আযাব ও অপরাধী মুমিন কে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাত দেওয়ার বিষয় প্রত্যাখান করবে "
(------মুসনাদে আহমাদ , হাদীস নং- ৭১৩৪)
( উৎস-- মাসিক আদর্শ নারী , November, 2012 )
5) নামাজে সশব্দে আমীন বলা ------------------>>
০১) আতা (রঃ) বলেন, আমীন হল দু’আ। তিনি আরো বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) ও তার পিছনের মুসল্লীগণ এমনভাবে আমীন বলতেন যে মসজিদে গুমগুম আওয়াজ হতো। আবু হুরায়রা (রাঃ) ইমামকে ডেকে বলতেন, আমাকে আমীন বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবেন না। নাফি(রঃ)বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) কখনই আমীন বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদের (আমীন বলার জন্য)উৎসাহিত করতেন। আমি তাঁর কাছ থেকে এ সম্পর্কে হাদিস শ্তনেছি ।
সহীহ বুখারী,২য় খন্ড, অনুচ্ছেদ-৫০২, পৃষ্ঠা নং ১২০ও১২১, প্রকাশনী- ইসঃ ফাউঃ বাংলাদেশ।

No comments:

Post a Comment