Source LINK
হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেন, ''রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর পরলোক গমনের অল্প দিন পরে ‘দাওমাতুল জানদাল’ হতে একটি স্ত্রীলোক তাঁর খোজে আগমন করে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়েই সে উদ্বিগ্ন হয়ে কাঁদতে আরম্ভ করে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিঃ ব্যাপার কি?
সে বলেঃ ‘আমার মধ্যে ও আমার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ প্রায় লেগেই থাকতো। একবার সে আমাকে ছেড়ে কোন অজানা জায়গায় চলে যায়। একটি বৃদ্ধার নিকট আমি এসব কিছু বর্ণনা করি। সে আমাকে বলেঃ ‘তোমাকে যা বলি তাই কর, সে আপনা আপনি চলে আসবে।’ আমি প্রস্তুত হয়ে গেলাম। রাত্রে সে দু’টি কুকুর নিয়ে আমরা নিকট আগমন করে। একটির উপর সে আরোহণ করে এবং অপরটির উপর আমি আরোহণ করি। অল্পক্ষণের মধ্যেই আমরা দু’জন ব্যাবিলনে চলে যাই। তথায় গিয়ে দেখি যে, দু’টি লোক শৃংখলে আবদ্ধ অবস্থায় লটকানো রয়েছে। ঐ বৃদ্ধা আমাকে বলেঃ ‘তাদের নিকট যাও ও বল, ‘আমি যাদু শিখতে এসেছি।’ আমি তাদেরকে একথা বলি। তারা বলেঃ ‘জেনে রেখো, আমরা তো পরীক্ষার মধ্যে রয়েছি। তুমি যাদু শিক্ষা করো না, যাদু শিক্ষা করা কুফরী।’ আমি বলিঃ ‘শিখবো।’ তারা বলেঃ ‘আচ্ছা, তাহলে যাও, ঐ চুল্লীর মধ্যে প্রস্রাব করে চলে এসো।’ আমি গিয়ে প্রস্রাবের ইচ্ছে করি, কিন্তু আমার অন্তরে কিছুটা ভয়ের সঞ্চার হয়, সুতরাং আমি ফিরে এসে বলি, ‘আমি কাজ সেরে এসেছি।’ তারা বলেঃ ‘তুমি ভুল বলছো।’ এখন পর্যন্ত তুমি বিপথে চালিত হওনি। তোমার ঈমান ঠিক আছে, তুমি এখনও ফিরে যাও এবং কুফরী করো না।’ আমি বলিঃ ‘আমাকে যাদু শিখতেই হবে।’ তারা পুনরায় আমাকে বলেঃ ‘ঐ চুল্লীতে প্রস্রাব করে এসো।’ আমি আবার যাই। কিন্তু এবারও মন চায় না, সুতরাং ফিরে আসি। আবার এভাবেই প্রশ্ন ও উত্তর হয়। পুনরায় আমি চুল্লীর নিকট যাই এবং মনকে শক্ত করে প্রস্রাব করতে বসে পড়ি। আমি দেখি যে, একজন ঘোড়া সওয়ার মুখের উপর পর্দা ফেলে আকাশের উপর উঠে গেল। আমি ফিরে এসে তাদের নিকট এটার বর্ণনা করি। তারা বলেঃ ‘হ্যাঁ, এবার তুমি সত্য বলেছো। ওটা তোমার ঈমান ছিল, যা তোমার মধ্য হতে বেরিয়ে গেল। এখন চলে যাও।’
আমি এসে ঐ বৃদ্ধাকে বলিঃ ‘তারা আমাকে কিছুই শিক্ষা দেয়নি।’ সে বলেঃ ‘যথেষ্ট হয়েছে। তোমার নিকট সবই চলে এসেছে। এখন তুমি যা বলবে তাই হবে।’ আমি পরীক্ষামূলকভাবেএকটি গমের দানা নিয়ে মাটিতে ফেলে দেই। অতঃপর বলিঃ ‘গাছ হও।’ ওটা গাছ হয়ে গেল। আমি বলিঃ ‘তোমাতে ডাল পাতা গজিয়ে যাক।’ তাই হয়ে গেল। তারপর বলিঃ ‘শুকিয়ে যাও।’ ডালপাতা শুকিয়ে গেল। অতঃপর বলিঃ ‘পৃথক পৃথকভাবে দানা দানা হয়ে যাও।’ ওটা তাই হয়ে গেল। তারপর আমি বলিঃ ‘শুকিয়ে যাও।’ ওটা শুকিয়ে গেল। অতঃপর বলিঃ ‘আটা হয়ে যাও।’ আটা হয়ে গেল। আমি বলিঃ ‘রুটি হয়ে যাও।’ রুটি হয়ে গেল। এটা দেখে আমি লজ্জিত হয়ে যাই এবং বে-ঈমান হয়ে যাওয়ার কারণে আমার খুবই দুঃখ হয়। হে উম্মুল মু’মিনীন! আল্লাহর শপথ! আমি যাদুর দ্বারা কোন কামও নেইনি এবং কারও উপর এটা প্রয়োগও করিনি। এভাবে কাঁদতে কাঁদতে রাসূলুল্লাহ (সঃ)এর খিদমতে হাজির হওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ তাঁকে পেলাম না। এখন আমি কি করি?’
একথা বলেই সে পুনরায় কাঁদতে আরম্ভ করে এবং এত কাঁদে যে, সবারই মনে তার প্রতি দয়ার সঞ্চার হয়। তাকে কি ফতওয়া দেয়া যেতে পারে এ ব্যাপারে সাহাবীগণও (রাঃ) খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। অবশেষে তাঁরা বলেনঃ ‘এখন এ ছাড়া আর কি হবে যে, তুমি এ কাজ করবে না, তাওবা করবে এবং মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আর পিতা-মাতার খিদমত করবে।'' (তাফসীরে ইবনে জারীর, তাফসীরে ইবনে কাসীর) হাদীসটির সনদ সহীহ।
হযরত আয়িশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেন, ''রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর পরলোক গমনের অল্প দিন পরে ‘দাওমাতুল জানদাল’ হতে একটি স্ত্রীলোক তাঁর খোজে আগমন করে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়েই সে উদ্বিগ্ন হয়ে কাঁদতে আরম্ভ করে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করিঃ ব্যাপার কি?
সে বলেঃ ‘আমার মধ্যে ও আমার স্বামীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ প্রায় লেগেই থাকতো। একবার সে আমাকে ছেড়ে কোন অজানা জায়গায় চলে যায়। একটি বৃদ্ধার নিকট আমি এসব কিছু বর্ণনা করি। সে আমাকে বলেঃ ‘তোমাকে যা বলি তাই কর, সে আপনা আপনি চলে আসবে।’ আমি প্রস্তুত হয়ে গেলাম। রাত্রে সে দু’টি কুকুর নিয়ে আমরা নিকট আগমন করে। একটির উপর সে আরোহণ করে এবং অপরটির উপর আমি আরোহণ করি। অল্পক্ষণের মধ্যেই আমরা দু’জন ব্যাবিলনে চলে যাই। তথায় গিয়ে দেখি যে, দু’টি লোক শৃংখলে আবদ্ধ অবস্থায় লটকানো রয়েছে। ঐ বৃদ্ধা আমাকে বলেঃ ‘তাদের নিকট যাও ও বল, ‘আমি যাদু শিখতে এসেছি।’ আমি তাদেরকে একথা বলি। তারা বলেঃ ‘জেনে রেখো, আমরা তো পরীক্ষার মধ্যে রয়েছি। তুমি যাদু শিক্ষা করো না, যাদু শিক্ষা করা কুফরী।’ আমি বলিঃ ‘শিখবো।’ তারা বলেঃ ‘আচ্ছা, তাহলে যাও, ঐ চুল্লীর মধ্যে প্রস্রাব করে চলে এসো।’ আমি গিয়ে প্রস্রাবের ইচ্ছে করি, কিন্তু আমার অন্তরে কিছুটা ভয়ের সঞ্চার হয়, সুতরাং আমি ফিরে এসে বলি, ‘আমি কাজ সেরে এসেছি।’ তারা বলেঃ ‘তুমি ভুল বলছো।’ এখন পর্যন্ত তুমি বিপথে চালিত হওনি। তোমার ঈমান ঠিক আছে, তুমি এখনও ফিরে যাও এবং কুফরী করো না।’ আমি বলিঃ ‘আমাকে যাদু শিখতেই হবে।’ তারা পুনরায় আমাকে বলেঃ ‘ঐ চুল্লীতে প্রস্রাব করে এসো।’ আমি আবার যাই। কিন্তু এবারও মন চায় না, সুতরাং ফিরে আসি। আবার এভাবেই প্রশ্ন ও উত্তর হয়। পুনরায় আমি চুল্লীর নিকট যাই এবং মনকে শক্ত করে প্রস্রাব করতে বসে পড়ি। আমি দেখি যে, একজন ঘোড়া সওয়ার মুখের উপর পর্দা ফেলে আকাশের উপর উঠে গেল। আমি ফিরে এসে তাদের নিকট এটার বর্ণনা করি। তারা বলেঃ ‘হ্যাঁ, এবার তুমি সত্য বলেছো। ওটা তোমার ঈমান ছিল, যা তোমার মধ্য হতে বেরিয়ে গেল। এখন চলে যাও।’
আমি এসে ঐ বৃদ্ধাকে বলিঃ ‘তারা আমাকে কিছুই শিক্ষা দেয়নি।’ সে বলেঃ ‘যথেষ্ট হয়েছে। তোমার নিকট সবই চলে এসেছে। এখন তুমি যা বলবে তাই হবে।’ আমি পরীক্ষামূলকভাবেএকটি গমের দানা নিয়ে মাটিতে ফেলে দেই। অতঃপর বলিঃ ‘গাছ হও।’ ওটা গাছ হয়ে গেল। আমি বলিঃ ‘তোমাতে ডাল পাতা গজিয়ে যাক।’ তাই হয়ে গেল। তারপর বলিঃ ‘শুকিয়ে যাও।’ ডালপাতা শুকিয়ে গেল। অতঃপর বলিঃ ‘পৃথক পৃথকভাবে দানা দানা হয়ে যাও।’ ওটা তাই হয়ে গেল। তারপর আমি বলিঃ ‘শুকিয়ে যাও।’ ওটা শুকিয়ে গেল। অতঃপর বলিঃ ‘আটা হয়ে যাও।’ আটা হয়ে গেল। আমি বলিঃ ‘রুটি হয়ে যাও।’ রুটি হয়ে গেল। এটা দেখে আমি লজ্জিত হয়ে যাই এবং বে-ঈমান হয়ে যাওয়ার কারণে আমার খুবই দুঃখ হয়। হে উম্মুল মু’মিনীন! আল্লাহর শপথ! আমি যাদুর দ্বারা কোন কামও নেইনি এবং কারও উপর এটা প্রয়োগও করিনি। এভাবে কাঁদতে কাঁদতে রাসূলুল্লাহ (সঃ)এর খিদমতে হাজির হওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য বশতঃ তাঁকে পেলাম না। এখন আমি কি করি?’
একথা বলেই সে পুনরায় কাঁদতে আরম্ভ করে এবং এত কাঁদে যে, সবারই মনে তার প্রতি দয়ার সঞ্চার হয়। তাকে কি ফতওয়া দেয়া যেতে পারে এ ব্যাপারে সাহাবীগণও (রাঃ) খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। অবশেষে তাঁরা বলেনঃ ‘এখন এ ছাড়া আর কি হবে যে, তুমি এ কাজ করবে না, তাওবা করবে এবং মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আর পিতা-মাতার খিদমত করবে।'' (তাফসীরে ইবনে জারীর, তাফসীরে ইবনে কাসীর) হাদীসটির সনদ সহীহ।
Our hifz Quran for adults program is a well-structured hifz course Best of the best hifz teachers | Flexible scheduling Affordable fees | 2 Free trials Islamic studies for kids
ReplyDelete