Sunday, August 3, 2014

শরহুল আকীদাহ আত্ তাহাবীয়া: পর্ব- ২১

Source LINK 
শরহুল আকীদাহ আত্ তাহাবীয়া: পর্ব- ২১
অতঃপর আল্লাহ তাআলা কিয়ামত ও পুনরুত্থানের বিষয়কে একটি মজবুত দলীল ও সুস্পষ্ট প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত করেছেন। এতে রয়েছে অন্য একজন নাস্তিকের প্রশ্নের জবাব। বলা হচ্ছে হাড়গুলো যখন পচে গলে মাটির সাথে মিশে যাবে, তখন তা ঠাণ্ডা ও শুষ্ক উপাদানে পরিণত হবে। আর হায়াত তথা জীবনের জন্য গরম ও ঠাণ্ডা উভয় প্রকার স্বভাব ও উপকরণ জরুরী। এটি মানুষের পুনরুত্থানের দলীল বহন করে। সুতরাং এতে সেই নাস্তিকের প্রশ্নের জবাব এবং পুনরুত্থানের দলীল উভয়ই রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ﴾ 
“তিনিই তোমাদের জন্য সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা তা থেকে নিজেদের চুলা জ্বালিয়ে থাকো”। (সূরা ইয়াসীনঃ ৮০) আল্লাহ তাআলা এই উপাদানকে (আগুনকে) সৃষ্টি করেছেন, যার উত্তাপ অত্যন্ত প্রখর ও শুষ্ক। এটিকে তিনি বের করেছেন সবুজ ও সতেজ বৃক্ষ থেকে, যা তরল ও ঠান্ডা উপদানে পরিপূর্ণ। যিনি কোন বস্তুকে তার বিপরীত ধর্মী বিষয় থেকে বের করেন এবং যার কাছে সমস্ত মাখলুক ও তার উপাদান বশ্যতা স্বীকার করে ও নত হয়, তার জন্য পচা গলা হাড়সমূহ থেকে মৃত মানুষকে জীবিত করা মোটেই কঠিন নয়। আর এ বিষয়টিকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করেছে অবিশ্বাসী এই নাস্তিক। 
অতঃপর আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট ও বিশাল বিশাল বস্তু সৃষ্টি করার মাধ্যমে তুলনা মূলক ছোট ছোট বস্তু সৃষ্টি করার উপর দলীল গ্রহণ করেছেন। কেননা প্রত্যেক বিবেকবানই বুঝতে সক্ষম যে, যে ব্যক্তি বড় বড় কাজ করতে সক্ষম, সে ছোট কিছু করতে মোটেই অক্ষম নয়। যে ব্যক্তি এক কুইন্টাল ওজনের বোঝা বহন করতে সক্ষম, তার জন্য এক আউন্স পরিমাণ বহন করা খুবই মামুলী ব্যাপার। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَن يَخْلُقَ مِثْلَهُم
“যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন না? (অবশ্যই রাখেন)। (সূরা ইয়াসীনঃ ৮১) আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিয়েছেন যে, যিনি এই বিশাল, প্রশস্ত ও বিষ্ময়কর আসমান-যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি পচে গলে যাওয়া হাড়সমূহকে পুনরায় জীবিত করতে অবশ্যই সক্ষম। তিনি পচা গলা ও মাটির সাথে যাওয়া হাড় ও মাংসকে পূর্বের অবস্থায় ফেরত দিতে সক্ষম। যেমন আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেনঃ
﴿لَخَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَكْبَرُ مِنْ خَلْقِ النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ﴾
“মানুষ সৃষ্টি করার চেয়ে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করা নিসন্দেহে অনেক বড় কাজ৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষই জানে না”। (সূরা মুমিনঃ ৫৭) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿أَوَلَيْسَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَن يَخْلُقَ مِثْلَهُم ۚ بَلَىٰ وَهُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيمُ﴾
“যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন না? কেন নয়, তিনি পারদর্শী স্রষ্টা” (সূরা ইয়াসীনঃ ৮১)
অতঃপর আল্লাহ তাআলা জোর দিয়ে আরেকটি বিষয় বর্ণনা করেছেন। তা হলো আল্লাহর কাজ মানুষের কাজের মত নয়। মানুষ কাজ করে যন্ত্রের সাহায্যে। কাজ করতে মানুষের পরিশ্রম হয়, ক্লান্তি ও কষ্ট লাগে। মানুষ সম্পূর্ণ নিজস্ব ক্ষমতায় কাজ করতে পারেনা। তার কাজের জন্য যন্ত্রপাতি ও একাধিক সহায়ক বস্তুর প্রয়োজন হয়। আল্লাহ তাআলা যখন কোন কাজ করতে চান, তখন কাজটি বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য তাঁর ইচ্ছাই যথেষ্ট। তিনি যা সৃষ্টি করতে চান, তার জন্য শুধু كُنْ ‘হয়ে যাও’ বলাই যথেষ্ট। কুন শব্দটি বলার সাথে সাথেই যেভাবে তিনি ইচ্ছা করেছেন, জিনিষটি সেভাবেই সৃষ্টি হয়ে যায়। 
অতঃপর আল্লাহ তাআলা সূরা ইয়াসীনে কিয়ামত ও সৃষ্টির পুনরুত্থান সত্য হওয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে বর্ণনা করার পর এই কথা বলে বিষয়টির পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন যে, প্রত্যেক জিনিষের কর্তৃত্ব কেবল আল্লাহর হাতেই। তিনি যেভাবে ইচ্ছা তা পরিচালনা করবেন। তিনি বলেনঃ
﴿فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ﴾ 
“পবিত্র তিনি যার হাতে রয়েছে প্রত্যেকটি জিনিষের পূর্ণ কর্তৃত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে”। (সূরা ইয়াসীনঃ ৮৩) 
কিয়ামত ও পুনরুত্থান যে সত্য এবং তা যে অবশ্যই সংঘটিত হবে, সে বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿أَيَحْسَبُ الْإِنسَانُ أَن يُتْرَكَ سُدًى أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّن مَّنِيٍّ يُمْنَىٰ ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَىٰ أَلَيْسَ ذَٰلِكَ بِقَادِرٍ عَلَىٰ أَن يُحْيِيَ الْمَوْتَىٰ﴾
“মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি বীর্যরূপ এক বিন্দু নগণ্য পানি ছিল না যা (মায়ের জরায়ুতে) নিক্ষিপ্ত হয়? অতঃপর তা মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়৷ তারপর আল্লাহ তার সুন্দর দেহ বানালেন এবং তার অংগ-প্রত্যংঙ্গগুলো সুসামঞ্জস্য করলেন৷ তারপর তা থেকে নারী ও পুরুষ দু’রকম মানুষ বানালেন৷ সেই স্রষ্টা কি মৃতদের পুনরায় জীবিত করতে সক্ষম নন? (সূরা কিয়ামাহঃ ৩৬-৪০) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এখানে জোর দিয়ে বলেছেন যে, তিনি তাদের উপর আদেশ-নিষেধ চাপিয়ে না দিয়ে এবং ভালো কাজের ছাওয়াব ও পাপ কাজের শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দিবেন না। তাঁর হিকমত ও কুদরত এমনটি করতে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ ۖ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ وَمَن يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِندَ رَبِّهِ ۚ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ﴾
“তোমরা কি মনে করেছিলে আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের কখনো আমার দিকে ফিরে আসতে হবেনা? কাজেই প্রকৃত বাদশাহ আল্লাহ হচ্ছেন উচ্চতর ও উন্নততর। তিনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নেই। সম্মানিত আরশের তিনিই মালিক এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কোন মাবুদকে ডাকে, যার পক্ষে তার কাছে কোন যুক্তি-প্রমাণ নেই, তার হিসাব রয়েছে তার রবের কাছে৷ এ ধরনের কাফের কখনো সফলকাম হতে পারেনা ৷ হে মুহাম্মাদ! বলো, ওহে আমার রব! ক্ষমা করো ও করুণা করো এবং তুমি সকল করুণাশীলের চেয়ে বড় করুণাশীল”। (সূরা মুমিনূনঃ ১১৫-১১৮) সুতরাং তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে গিয়ে শুক্রবিন্দকে প্রথমে জমাট রক্তপিণ্ডে পরিণত করেছেন, অতঃপর জমাট রক্তপিন্ডকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছেন, অতঃপর তার মধ্যে শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি স্থাপন করেছেন এবং তার মধ্যে তৈরী করেছেন ইন্দ্রিয় ও শক্তি, হাড্ডি, পেশী, রগ-রেশা ইত্যাদি। এগুলো তাকে মজবুত এক সৃষ্টিতে পরিণত করেছে, তার গঠনকে সুনিপুন করেছে এবং তাকে এই আকৃতিতে বের করেছে। যিনি মানুষকে এই পূর্ণতম গঠন এবং সর্বোত্তম আকৃতি দান করেছেন, তার পক্ষে তাদেরকে পুনরায় সৃষ্টি করা মোটেই অসম্ভব নয়। যিনি মানুষকে বিশেষ এক উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন এবং তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব ও পরিচর্যা দিয়েছেন, তিনি কিভাবে তাকে হিসাব না নিয়েই ছেড়ে দিতে পারেন? সুতরাং পুনরুত্থান ও হিসাব ছেড়ে দেয়া তাঁর হিকমত ও উদ্দেশ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় এবং তাঁর কুদরত ও ক্ষমতা তাকে পুনরায় সৃষ্টি করা হতে অক্ষমও নয়। 
হে প্রিয় পাঠক! সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এই বিস্ময়কর যুক্তি ও দলীল-প্রমাণ পেশ করা হয়েছে, আপনি তার দিকে লক্ষ্য করুন, যার চেয়ে অধিক সংক্ষিপ্ত; কিন্তু পরিপূর্ণ যুক্তি-প্রমাণ আর হতেই পারেনা। সেই সাথে আপনি এই সুস্পষ্ট বর্ণনার প্রতি খেয়াল করুন, যার চেয়ে অধিক সুস্পষ্ট বর্ণনার কল্পনাও করা যেতে পারেনা। হে প্রিয় পাঠক! এই দলীলগুলো এমন একাট্য যে, এতে কোন প্রকার সন্দেহ তার ধারে-কাছেও আসতে পারেনা।
কুরআনে অনুরূপ আরো অনেক যুক্তি-প্রমাণ রয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ ۚ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاءُ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ۖ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّىٰ وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَىٰ أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِن بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا ۚ وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ ذَٰلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَىٰ وَأَنَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌوَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَّا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَن فِي الْقُبُورِ﴾
“হে লোক সকল! যদি তোমাদের মৃত্যুর পরের জীবনের ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকে, তাহলে তোমরা জেনে রাখো, আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, তারপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর জমাট রক্তপিণ্ড থেকে, তারপর গোশতের টুকরা থেকে, যা আকৃতি বিশিষ্টও হয় এবং আকৃতিহীনও হয়৷ আমি এটি বলছি তোমাদের কাছে সত্যকে সু¯পষ্ট করার জন্য৷ আমি যে শুক্রকে চাই একটি বিশেষ সময় পর্যন্ত গর্ভাশয়ে স্থিত রাখি, তারপর একটি শিশুর আকারে তোমাদের বের করে আনি, (তারপর তোমাদের প্রতিপালন করি) যাতে তোমরা নিজেদের পূর্ণ যৌবনে পৌঁছে যাও৷ আর তোমাদের কাউকে তার পূর্বেই ডেকে ফিরিয়ে নেয়া হয় এবং কাউকে হীনতম বয়সের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, যাতে সবকিছু জানার পর আবার কিছুই না জানে৷ আর তোমরা দেখছো যমীন বিশুষ্ক অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর যখনই আমি তার উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেছি তখনই সে সবুজ শ্যামল হয়েছে, স্ফীত হয়ে উঠেছে এবং সব রকমের সুদৃশ্য উদ্ভিদ উদগত করতে শুরু করেছে৷ এ সব কিছু এ জন্য যে, আল্লাহ সত্য। তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন এবং তিনি সব জিনিষের উপর শক্তিশালী৷ আর এ একথার প্রমাণ যে, কিয়ামতের সময় অবশ্যই আসবে। এতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে উঠাবেন যারা কবরে চলে গেছে”। (সূরা হজ্জঃ ৫-৭) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن سُلَالَةٍ مِّن طِينٍ ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ ۚ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ ثُمَّ إِنَّكُم بَعْدَ ذَٰلِكَ لَمَيِّتُونَ ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تُبْعَثُونَ﴾
“আমি মানুষকে তৈরী করেছি মাটির উপাদান থেকে, তারপর তাকে একটি সংরক্ষিত স্থানে টপ্কে পড়া ফোঁটায় পরিবর্তত করেছি, এরপর সেই ফোঁটাকে জমাট রক্তপিন্ডে পরিণত করেছি, তারপর সেই রক্তপিন্ডকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর মাংসপিন্ডে অস্থি-পঞ্জর স্থাপন করেছি, তারপর অস্থি-পঞ্জরকে ঢেকে দিয়েছি গোশত দিয়ে, তারপর তাকে দাঁড় করেছি স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি রূপে৷ কাজেই আল্লাহ বড়ই বরকত স¤পন্ন, তিনি সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা৷ এরপর তোমাদের অবশ্যই মরতে হবে, তারপর কিয়ামতের দিন নিশ্চিতভাবেই তোমাদের পুনরুজ্জীবিত করা হবে”(সূরা মুমিনূনঃ ১২-১৬

No comments:

Post a Comment