Source LINK
যা জানা প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য জরুরী - - - - - পর্ব- ১
"যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার- ফায়সালা করে না, তারা কাফের।" (সুরা মায়েদাহঃ ৪৪)
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানীত দ্বীনি ভাই - বোন একটু কষ্ট হলেও পুরো লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন
এবং পরবর্তী পর্ব গুলো ধারাবাহিক পড়বেন। তানাহলে সঠিক কথা জানতে পারবেন না।
ইসলাম মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা। যার সকল বিধান মানুষের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে নির্ধারিত। ইসলামে শৈথিল্যতা ও চরমপন্থার কোনটার ই অবকাশ নেই।
মহান আল্লাহ বলেন, আমরা তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত করেছি। যাতে তোমরা মানবজাতির উপরে সাক্ষী হ'তে পার এবং রাসুল তোমাদের উপর সাক্ষী হ'ন।
(সুরা বাক্বারাহঃ ২/১৪৩)
সাক্ষদাতা উম্মত সর্বদা মধ্যপন্থী হয়ে থাকে। আর এর মধ্যে নিহিত রয়েছে উম্মাহর "শ্রেষ্ঠ জাতি" হওয়ার চাবিকাটি। (সুরা আলে ইমরানঃ ১১০)
কিন্তু কিছু মানুষ ক্ষমতা দখলকেই 'বড় ইবাদত' এবং 'সবচেয়ে বড় ফরয' বলে থাকে। যেভাবেই হৌক ক্ষমতা দখল তাদের মূল লক্ষয়। সেকারণ চরমপন্থাকে তারা অধিক পছন্দ করে। ক্ষমতা ও নেতৃত্ব আল্লাহ প্রদত্ত নে'মত। তা চেয়ে নেবার বা আদায় করে নেবার বিষয় নয়। এর মধ্যে প্রতারনা বা জবর্দস্তির কোন অবকাশ নেই। অথচ উক্ত কারণেই সরবত্র নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে হানাহানি চলছে। এবিষয়ে ইসলামের নিজস্ব নীতি- আদর্শ ও রীতি পদ্ধতি রয়েছে।
বর্তমানে যেসব মুসলিম সরকার ইসলামী বিধান অনুযায়ী দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করে না বা যেসব আদালত তদনুযায়ী বিচার- ফায়সালা করেনা, তাদেরকে 'কাফের' আখ্যায়িত করে তাদের হত্যা করার পক্ষে নিম্নের আয়েয়াতটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যেমন আল্লাহ বলেন, " যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনযায়ী বিচার বা শাসন করে না, তারা কাফের" (সুরা মায়েদাহঃ ৫/৪৪). এর পরের ৪৫ আয়েয়াতে রয়েছে 'তারা যালেম' এবং ৪৭ আয়েয়াতে রয়েছে 'তারা ফাসেক।' এক ই অপরাধের তিন রকম পরিণতিঃ কাফের, যালেম ও ফাসেক।
এখানে 'কাফের' ইসলাম থেকে খারিজ প্রকৃত 'কাফের' বা মুরতাদ নয়। বরং এর অর্থ আল্লাহর বিধানের অবাধ্যতাকারী কবীরা গোনাহগার ব্যক্তি। কিন্তু চরমপন্থীরা এ আয়েয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে মুসলিম সরকারকে প্রকৃত 'কাফের' আখ্যায়িত করে এবং তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নামতে তরুনদের প্ররোচিত করে।
বিগত যুগে এই আয়াতের অপব্যাখ্যা করে চরমপন্থী ভ্রান্ত ফের্কা খারেজীরা চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ) -কে 'কাফের' আখ্যায়িত করে তাঁকে হত্যা করেছিল। আজ ও ঐ ভ্রান্ত আক্বীদার অনুসারীরা বিভিন্ন দেশের মুসলিম বা অমুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্বব্যাপী ইসলামের শান্তিময় ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে।
সম্ভবতঃ একারণেই রাসুল(সাঃ) খারেজীদেরকে "জাহান্নামের কুকুর বলেছেন"
(ইবনু মাজাহ হা/ ১৭৩, সনদ সহীহ)
"মানাবী বলেন, এর কারণ হ'ল তারা ইবাদতে অগ্রগামী। কিন্তু অন্তরসমূহ বক্রতায় পূর্ণ। এরা মুসলমানদের কোন বড় পাপ দেখলে তাকে 'কাফের' বলে ও তার রক্ত হালাল জ্ঞান করে। যেহেতু এরা আল্লাহর বান্দাদের প্রতি কুকুরের মত আগ্রাসী হয়, তাই তাদের কৃতকর্মের দরুণ জাহান্নামে প্রবেশকালে তারা কুকুরের মত আকৃতি লাভ করবে।"
(মানাবী, ফায়যুল ক্বাদীর শরহ সহীহুল জামে' আস- সাগীর, বৈরুতঃ ১ম সংস্করণ, ১৪১৫/ ১৯৯৪; ৩/ ৫০৯ পৃ)
"আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর(রাঃ) এদেরকে "আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি" মনে করতেন। কেননা তারা কাফিরদের উদ্দেশ্যে বর্ণিত আয়েয়াতগুলিকে মুসলিমদের উপরে প্রয়োগ করে থাকে।"
(ফাৎহুল বারী, ৮৮ অধ্যায় ৬ অনুচ্ছেদ- এর তরজমানুল বাব, হা/ ৬৯৩০- এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
বস্তুতঃ উক্ত আয়েয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা সেটাই, যা সাহাবায়ে কেরাম করেছেন। যেমন-
(১) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস(রাঃ) উক্ত আয়েয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, যে আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।
(ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাসীর, উক্ত আয়েয়াতের তাফসীর দর্ষটব্য; তাহকীক দ্রষ্টব্যঃ খালেদ আল- আম্বারী, উসূলুত তাফসীর, পৃঃ ৬৪; ৭৫- ৭৬ টীকাসমূহ)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, "তোমরা এ কুফরী দ্বারা যে অর্থ বুঝাতে চাচ্ছ, সেটা নয়। কেননা এটি ঐ কুফরী নয়, যা কোন মুসলমানকে ইসলামের গন্ডী থেকে বের করে দেয়। বরং এর দ্বারা বড় কুফরের নিম্নের কুফর, বড় যুলুমের নিম্নের যুলুম ও বড় ফিসকের নিম্নের ফিসক বুঝানো হয়েছে।
(হাকেম, হা/ ৩২১৯, ২/ ৩১৩, সনদ সহীহ; তিরমিযী, হা/ ২৬৩৫)
(২) আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ(রাঃ) ও হাসান বাসরী(রহঃ) বলেন, এটা মুসলিম, ইহূদী, কাফের সকল প্রকার লোকের জন্য সাধারণ হুকুম যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার- ফায়সালা করে না। অর্থাৎ যারা বিশ্বাসগতভাবে (আল্লাহর বিধানকে) প্রত্যাখ্যান করে এবং অন্য বিধান দ্বারা বিচার ও শাসন করাকে হালাল বা বৈধ মনে করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি উক্ত কাজ করে, অথচ বিশ্বাস করে যে সে হারাম কাজ করছে, সে ব্যক্তি মুসলিম ফাসেকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তার বিষয়ট আল্লাহর উপর ন্যস্ত। তিনি চাইলে তাকে শাস্তি দিবেন, চাইলে ক্ষমা করবেন।
(কুরতুবী, সুরা মায়েদাহ ৪৪ নং আয়েয়াতের তাফসীর)
সুত্রঃ জিহাদ ও ক্বিতাল
লেখকঃ আসাদুল্লাহ আল- গালিব
চলবে ......
যা জানা প্রত্যেক মুসলিমদের জন্য জরুরী - - - - - পর্ব- ১
"যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার- ফায়সালা করে না, তারা কাফের।" (সুরা মায়েদাহঃ ৪৪)
আসসালামু আলাইকুম, সম্মানীত দ্বীনি ভাই - বোন একটু কষ্ট হলেও পুরো লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন
এবং পরবর্তী পর্ব গুলো ধারাবাহিক পড়বেন। তানাহলে সঠিক কথা জানতে পারবেন না।
ইসলাম মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা। যার সকল বিধান মানুষের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তির লক্ষে নির্ধারিত। ইসলামে শৈথিল্যতা ও চরমপন্থার কোনটার ই অবকাশ নেই।
মহান আল্লাহ বলেন, আমরা তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত করেছি। যাতে তোমরা মানবজাতির উপরে সাক্ষী হ'তে পার এবং রাসুল তোমাদের উপর সাক্ষী হ'ন।
(সুরা বাক্বারাহঃ ২/১৪৩)
সাক্ষদাতা উম্মত সর্বদা মধ্যপন্থী হয়ে থাকে। আর এর মধ্যে নিহিত রয়েছে উম্মাহর "শ্রেষ্ঠ জাতি" হওয়ার চাবিকাটি। (সুরা আলে ইমরানঃ ১১০)
কিন্তু কিছু মানুষ ক্ষমতা দখলকেই 'বড় ইবাদত' এবং 'সবচেয়ে বড় ফরয' বলে থাকে। যেভাবেই হৌক ক্ষমতা দখল তাদের মূল লক্ষয়। সেকারণ চরমপন্থাকে তারা অধিক পছন্দ করে। ক্ষমতা ও নেতৃত্ব আল্লাহ প্রদত্ত নে'মত। তা চেয়ে নেবার বা আদায় করে নেবার বিষয় নয়। এর মধ্যে প্রতারনা বা জবর্দস্তির কোন অবকাশ নেই। অথচ উক্ত কারণেই সরবত্র নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে হানাহানি চলছে। এবিষয়ে ইসলামের নিজস্ব নীতি- আদর্শ ও রীতি পদ্ধতি রয়েছে।
বর্তমানে যেসব মুসলিম সরকার ইসলামী বিধান অনুযায়ী দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করে না বা যেসব আদালত তদনুযায়ী বিচার- ফায়সালা করেনা, তাদেরকে 'কাফের' আখ্যায়িত করে তাদের হত্যা করার পক্ষে নিম্নের আয়েয়াতটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যেমন আল্লাহ বলেন, " যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনযায়ী বিচার বা শাসন করে না, তারা কাফের" (সুরা মায়েদাহঃ ৫/৪৪). এর পরের ৪৫ আয়েয়াতে রয়েছে 'তারা যালেম' এবং ৪৭ আয়েয়াতে রয়েছে 'তারা ফাসেক।' এক ই অপরাধের তিন রকম পরিণতিঃ কাফের, যালেম ও ফাসেক।
এখানে 'কাফের' ইসলাম থেকে খারিজ প্রকৃত 'কাফের' বা মুরতাদ নয়। বরং এর অর্থ আল্লাহর বিধানের অবাধ্যতাকারী কবীরা গোনাহগার ব্যক্তি। কিন্তু চরমপন্থীরা এ আয়েয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে মুসলিম সরকারকে প্রকৃত 'কাফের' আখ্যায়িত করে এবং তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নামতে তরুনদের প্ররোচিত করে।
বিগত যুগে এই আয়াতের অপব্যাখ্যা করে চরমপন্থী ভ্রান্ত ফের্কা খারেজীরা চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ) -কে 'কাফের' আখ্যায়িত করে তাঁকে হত্যা করেছিল। আজ ও ঐ ভ্রান্ত আক্বীদার অনুসারীরা বিভিন্ন দেশের মুসলিম বা অমুসলিম সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্বব্যাপী ইসলামের শান্তিময় ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে।
সম্ভবতঃ একারণেই রাসুল(সাঃ) খারেজীদেরকে "জাহান্নামের কুকুর বলেছেন"
(ইবনু মাজাহ হা/ ১৭৩, সনদ সহীহ)
"মানাবী বলেন, এর কারণ হ'ল তারা ইবাদতে অগ্রগামী। কিন্তু অন্তরসমূহ বক্রতায় পূর্ণ। এরা মুসলমানদের কোন বড় পাপ দেখলে তাকে 'কাফের' বলে ও তার রক্ত হালাল জ্ঞান করে। যেহেতু এরা আল্লাহর বান্দাদের প্রতি কুকুরের মত আগ্রাসী হয়, তাই তাদের কৃতকর্মের দরুণ জাহান্নামে প্রবেশকালে তারা কুকুরের মত আকৃতি লাভ করবে।"
(মানাবী, ফায়যুল ক্বাদীর শরহ সহীহুল জামে' আস- সাগীর, বৈরুতঃ ১ম সংস্করণ, ১৪১৫/ ১৯৯৪; ৩/ ৫০৯ পৃ)
"আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর(রাঃ) এদেরকে "আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি" মনে করতেন। কেননা তারা কাফিরদের উদ্দেশ্যে বর্ণিত আয়েয়াতগুলিকে মুসলিমদের উপরে প্রয়োগ করে থাকে।"
(ফাৎহুল বারী, ৮৮ অধ্যায় ৬ অনুচ্ছেদ- এর তরজমানুল বাব, হা/ ৬৯৩০- এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)
বস্তুতঃ উক্ত আয়েয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা সেটাই, যা সাহাবায়ে কেরাম করেছেন। যেমন-
(১) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস(রাঃ) উক্ত আয়েয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, যে আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।
(ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাসীর, উক্ত আয়েয়াতের তাফসীর দর্ষটব্য; তাহকীক দ্রষ্টব্যঃ খালেদ আল- আম্বারী, উসূলুত তাফসীর, পৃঃ ৬৪; ৭৫- ৭৬ টীকাসমূহ)
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, "তোমরা এ কুফরী দ্বারা যে অর্থ বুঝাতে চাচ্ছ, সেটা নয়। কেননা এটি ঐ কুফরী নয়, যা কোন মুসলমানকে ইসলামের গন্ডী থেকে বের করে দেয়। বরং এর দ্বারা বড় কুফরের নিম্নের কুফর, বড় যুলুমের নিম্নের যুলুম ও বড় ফিসকের নিম্নের ফিসক বুঝানো হয়েছে।
(হাকেম, হা/ ৩২১৯, ২/ ৩১৩, সনদ সহীহ; তিরমিযী, হা/ ২৬৩৫)
(২) আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ(রাঃ) ও হাসান বাসরী(রহঃ) বলেন, এটা মুসলিম, ইহূদী, কাফের সকল প্রকার লোকের জন্য সাধারণ হুকুম যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার- ফায়সালা করে না। অর্থাৎ যারা বিশ্বাসগতভাবে (আল্লাহর বিধানকে) প্রত্যাখ্যান করে এবং অন্য বিধান দ্বারা বিচার ও শাসন করাকে হালাল বা বৈধ মনে করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি উক্ত কাজ করে, অথচ বিশ্বাস করে যে সে হারাম কাজ করছে, সে ব্যক্তি মুসলিম ফাসেকদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তার বিষয়ট আল্লাহর উপর ন্যস্ত। তিনি চাইলে তাকে শাস্তি দিবেন, চাইলে ক্ষমা করবেন।
(কুরতুবী, সুরা মায়েদাহ ৪৪ নং আয়েয়াতের তাফসীর)
সুত্রঃ জিহাদ ও ক্বিতাল
লেখকঃ আসাদুল্লাহ আল- গালিব
চলবে ......
No comments:
Post a Comment