1) তাহারাত ===>>
প্রশ্ন : বিছানায় নাপাকী লেগে থাকলে তার উপর পরিষ্কার কিছু বিছিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে কি?উত্তর : বিছানায় নাপাকী লেগে থাকলে তার উপর পরিষ্কার কিছু বিছিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে নাপাকীর উপর যা বিছানো হচ্ছে, তা যদি উক্ত নাপাকীর কারণে ভিজে যায়, তাহ’লে ছালাত হবে না। কারণ এতে এটিও নাপাক হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, অপবিত্র বস্তু পবিত্র করার দুটি মাধ্যম রয়েছেঃ
(১) নাপাকি ছাফ করা
(২) নাপাকি ঢেকে দেওয়া (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৩ পৃঃ ‘পবিত্রতা’ অধ্যায়)। LINK
2) খোলা তালাক ====>>>
স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। তবে স্ত্রী যেকোন সময়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকার রাখে। যাকে শরী‘আতে ‘খোলা’ বলে। এ সময় স্ত্রী তার মোহরানা স্বামীকে ফেরৎ দিবে। - - - - to read more - - - - http://deenilhaq.wordpress.com/2014/01/01/স্ত্রী-স্বামীকে-তালাক-দি/
-------------------------------------------------------------------------------
ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ) ও ইমাম মালিক (রাহঃ) -এর মতামতঃ প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার খোলা করার পর স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক সম্মতি ও সমঝোতার ভিত্তিতে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে । কিন্তু তৃতীয়বার খোলা করার পর আর এ সুযোগ থাকে না ।
ইমাম আহমাদ (রাহঃ) -এর মতামতঃ খোলা কোন তালাক (বিচ্ছেদ) নয়; বরং ফাসখ (রদকরণ) । অতএব, যতবারই খোলা করা হোক, স্ত্রী নতুন স্বামী গ্রহণ ছাড়াই প্রথম স্বামীর সাথে পুনর্বিবাহে আবদ্ধ হতে পারে । (অনুবাদক)
C/O, পৃষ্ঠা নং-২৯০, মুওয়াত্তা ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) / অনুবাদকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ মুসা
// আহসান পাবলিকেশন, বাংলাবাজার # ফোন # ৭১২৫৬৬০ //
3) ২০ রাকাআত তারাবীহ
হাফেয ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) এর যুগে যখন রাফেজীরা (শিয়া) হযরত উমর (রাঃ) এর উপর এই অভিযোগ উত্থাপন করেছিল যে, তিনি ২০ রাকাআত তারাবীহ চালু করে বিদ'আত সৃষ্টি করেছেন, তখন ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) তখন উমর (রাঃ) এর বিরুদ্ধে রাফেজীদের এই অভিযোগের জবাবে লিখেছিলেন---------------------------------------------------------------
"যদি হযরত উমর (রঃ) ২০ রাকাআত তারাবীহ চালু করে খারাপ আমলই শুরু করতেন, তবে হযরত আলী (রাঃ) অবশ্যই তার খিলাফতের যুগে এই খারাপ আমলটিকে বন্ধ করে দিতেন। অথচ, হযরত আলী (রাঃ) এর খিলাফতের যুগে তিনিও কুফাতে ২০ রাকাআত পড়তেন। রমজান মাসে হযরত আলী (রাঃ) বলতেন, হে আল্লাহ! আপনি হযরত উমর (রাঃ) এর কবরকে তেমনিভাবে আলোকিত করুন, যেভাবে তিনি আমাদের মসজিদ গুলোকে আমাদের জন্য আলোকিত করেছেন।"
(মিনহাজুল সুন্নাহঃ ২/২২৪)
4) Types of Riba =====>
There are two classification of Riba in Fiqh: --->a) Riba al Nasiah- here the increase or growth is due to postponement. It can be specified in the beginning of transaction or on maturity of debt. If the debtor is not able to pay back the debt on maturity and the creditor gives him some more time in return for an additional amount it is termed Riba al Nasiah.
b) Riba al Fadl- here the increase is independent of postponement or maturity of debt. It happens when two same things are exchanged unequally. For example a kilo of wheat being exchanged for 1.5 kilos of wheat.
5) ইসলামের মাসআলা মাছায়েল একটি দু’টি দলীলের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়না। বরং অনেক সংখ্যক - - - -
দলীল কি, দলীল কি......? LINKইসলামের মাসআলা মাছায়েল একটি দু’টি দলীলের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়না। বরং অনেক সংখ্যক কোরানের আয়াত, রাসুলের হাদিস, নাছেখ- মানছুখ, উসুল ও কাওয়ায়েদ এবং ফকীহ গনের মতামত ও তাঁদের দলীল ও যুক্তি বিবেচনা করে রচিত হয়। কাজেই প্রকৃত যোগ্য ফকীহ ছাড়া দলীলের মূল নির্দেশনা কেউ বের করতে পারবেন না। অপর পক্ষে একটি আয়াত বা একটি হাদিস বলে দিলে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হবে যে ঐ সাধারন লোকটি তার মূল আক্ষরিক তরজমাকে নিজের করে যেমন ইচ্ছা তেমন বুঝে নেবে। আর তাতে দলীল দেয়ার উপকারীতা থেকে অপকারীতাই বেশী দেখা দেবে। সমস্যা আরও ঘনীভূত হবে যদি দলীল দাতাই দলীল এনালাইসীস করার ক্ষমতা না রাখেন।
لا يكون الرجل فقيهًا كل الفقه حتى يرى للقرآن وجوهًا كثيرة
রাসুল সঃ বলেনঃ কোন ব্যাক্তি প্রকৃত ফকীহ নন যদি তিনি কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যায় নানান মুখি অর্থ দেখতে পাওয়ার যোগ্যতা না রাখেন। ( হাদিস টি মারফু হিসাবে অনেকের নিকট সহীহ না হলেও মাউকুফ হিসাবে সহীহ)
এর অর্থ, তিনি নানান মুখি অর্থ বুঝবেন এবং তম্মদ্ধ্যে উত্তমটি গ্রহণ করবেন। এবং সেটিই মানুষকে বলে দেবেন।
No comments:
Post a Comment