Sunday, August 3, 2014

শরহুল আকীদাহ আত তাহাবীয়া: পর্ব- ২৩

Source LINK 
শরহুল আকীদাহ আত তাহাবীয়া: পর্ব- ২৩

অতঃপর ইমাম তাহাবী (রঃ) বলেনঃ আমরা কিয়ামাত দিবসে আমলের প্রতিফল প্রদানে বিশ্বাস করি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ﴾
“তিনি প্রতিদান দিবসের মালিক”। (সূরা ফাতিহাঃ ৩) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ يَوْمَئِذٍ يُوَفِّيهِمُ اللَّهُ دِينَهُمُ الْحَقَّ وَيَعْلَمُونَ أَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ الْمُبِينُ﴾
“তারা যেন সেদিনের কথা ভুলে না যায়, যেদিন তাদের নিজেদের কন্ঠ এবং তাদের নিজেদের হাত-পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে৷ সেদিন তারা যে প্রতিদানের যোগ্য হবে, তা আল্লাহ তাদেরকে পুরোপুরি দেবেন এবং তারা জানবে, আল্লাহই সত্য এবং সত্যকে সত্য হিসেবে প্রকাশকারী”। (সূরা নূরঃ ২৫) এখানে দ্বীন বলতে প্রতিদান ও বিনিময় উদ্দেশ্য। বলা হয় كما تدين تدان অর্থাৎ তুমি যেভাবে দ্বীন গ্রহণ (আমল) করবে সেভাবেই তোমাকে বদলা দেয়া হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا أُخْفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
“কেউ জানে না তাদের কাজের পুরস্কার স্বরূপ তাদের চোখের শীতলতার কি সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হয়েছে”। (সূরা সাজদাঃ ১৭) আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿جَزَاءً وِفَاقًا﴾
“তারা তাদের কার্যকলাপের পূর্ণ প্রতিফল পাবে”। (সূরা নাবাঃ ২৬) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿مَن جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا ۖ وَمَن جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَلَا يُجْزَىٰ إِلَّا مِثْلَهَا وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ﴾
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে হাযির হবে সৎকাজ নিয়ে তার জন্য রয়েছে দশগুণ প্রতিফল আর যে ব্যক্তি অসৎকাজ নিয়ে আসবে সে ততটুকু প্রতিফল পাবে যতটুকু অপরাধ সে করেছে এবং কারোর উপর যুলুম করা হবেনা”। (সূরা আনআমঃ ১৬০) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿مَن جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ خَيْرٌ مِّنْهَا وَهُم مِّن فَزَعٍ يَوْمَئِذٍ آمِنُونَ وَمَن جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَكُبَّتْ وُجُوهُهُمْ فِي النَّارِ هَلْ تُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾
“যে ব্যক্তি সৎ কাজ নিয়ে আসবে সে তার চেয়ে বেশী ভাল প্রতিদান পাবে এবং এ ধরণের লোকেরা সেদিনের ভীতি বিহবলতা থেকে নিরাপদ থাকবে৷ আর যারা অসৎ কাজ নিয়ে আসবে, তাদের সবাইকে মুখের উপর উপুড় করে আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে৷ তোমরা কি ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান পেতে পারো? (সূরা নামলঃ ৮৯-৯০) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿مَن جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ خَيْرٌ مِّنْهَا ۖ وَمَن جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَلَا يُجْزَى الَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ إِلَّا مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
“যে কেউ ভাল কাজ নিয়ে আসবে তার জন্য রয়েছে তার চেয়ে ভাল ফল এবং যে কেউ খারাপ কাজ নিয়ে আসে তার জানা উচিৎ যে, অসৎ কর্মশীলরা যেমন কাজ করতো তেমন প্রতিদানই পাবে”। (সূরা কাসাসঃ ৮৪) কুরআন মজীদে এ রকম আয়াত আরো অনেক রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রভুর পক্ষ হতে বর্ণনা করতে গিয়ে আবু যার গিফরী (রাঃ)এর হাদীছে কুদসীতে বলেনঃ
يَا عِبَادِى إِنَّمَا هِىَ أَعْمَالُكُمْ أُحْصِيهَا لَكُمْ ثُمَّ أُوَفِّيكُمْ إِيَّاهَا فَمَنْ وَجَدَ خَيْرًا فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ وَمَنْ وَجَدَ غَيْرَ ذَلِكَ فَلاَ يَلُومَنَّ إِلاَّ نَفْسَهُ
“হে আমার বান্দাগণ! আমি তোমাদের এই আমলসমূহ সংরক্ষিত করে রাখবো। অতঃপর আমি তার পূর্ণ বিনিময় প্রদান করবো। সুতরাং যে ব্যক্তি ভাল কিছু পাবে, সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি এ ছাড়া অন্য কিছু পাবে, সে যেন কেবল নিজেকেই দোষারোপ করে। অচিরেই এ বিষয়ে সামনে বিস্তারিত বিবরণ আসবে। ইনশা-আল্লাহ।
ইমাম তাহাবী (রঃ) বলেনঃ আমরা আল্লাহর সমীপে বান্দার আমলনামা পেশ করা, হিসাব-নিকাশ, আমলনামা পাঠ করা, বান্দার আমলের ছাওয়াব ও শাস্তির প্রতিও ঈমান রাখি। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿فَيَوْمَئِذٍ وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ وَانشَقَّتِ السَّمَاءُ فَهِيَ يَوْمَئِذٍ وَاهِيَةٌ وَالْمَلَكُ عَلَىٰ أَرْجَائِهَا ۚ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لَا تَخْفَىٰ مِنكُمْ خَافِيَةٌ فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَيَقُولُ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَاقٍ حِسَابِيَهْ فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ قُطُوفُهَا دَانِيَةٌ كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا أَسْلَفْتُمْ فِي الْأَيَّامِ الْخَالِيَةِ وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِشِمَالِهِ فَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي لَمْ أُوتَ كِتَابِيَهْ وَلَمْ أَدْرِ مَا حِسَابِيَهْ يَا لَيْتَهَا كَانَتِ الْقَاضِيَةَ مَا أَغْنَىٰ عَنِّي مَالِيَهْ هَلَكَ عَنِّي سُلْطَانِيَهْ خُذُوهُ فَغُلُّوهُ ثُمَّ الْجَحِيمَ صَلُّوهُ ثُمَّ فِي سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَاسْلُكُوهُ إِنَّهُ كَانَ لَا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ فَلَيْسَ لَهُ الْيَوْمَ هَاهُنَا حَمِيمٌ﴾
“সেদিন সে মহা ঘটনা সংঘটিত হয়ে যাবে৷ সেদিন আসমান চৌচির হয়ে যাবে এবং তার বন্ধন শিথিল হয়ে পড়বে৷ ফেরেশতারা এর প্রান্তসীমায় অবস্থান করবে৷ সেদিন আটজন ফেরেশতা তাদের উপরে তোমার রবের আরশ বহন করবে৷ সেদিনটিতে তোমাদেরকে পেশ করা হবে৷ তোমাদের কোন গোপনীয় বিষয়ই আর সেদিন গোপন থাকবেনা। সে সময় যাকে তার আমলনামা ডান হতে দেয়া হবে সে বলবেঃ নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখো৷ আমি জানতাম, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে৷ তাই সে মনের মত আরাম আয়েশের মধ্যে থাকবে৷ উন্নত মর্যাদার জান্নাতে৷ যার ফলের গুচ্ছসমূহ নাগালের সীমায় অবনমিত হয়ে থাকবে এসব লোকদের কে বলা হবেঃ অতীত দিনগুলোতে তোমরা যা করে এসেছো তার বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তির সাথে খাও এবং পান করো৷
আর যার আমলনামা তার বাঁ হাতে দেয়া হবে সে বলবেঃ হায় আফসোস! আমার আমলনামা যদি আমাকে আদৌ দেয়া না হতো এবং আমার হিসাব যদি আমি আদৌ না জানতাম তাহলে কতই না ভাল হতো! হায় আফসোস! আমার সেই মৃত্যুই (যা দুনিয়াতে এসেছিলো) যদি চূড়ান্ত হতো৷ আজ আমার অর্থ-স¤পদ কোন কাজে আসলোনা৷ আমার সব ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিনাশপ্রাপ্ত হয়েছে। আদেশ দেয়া হবেঃ পাকড়াও করো ওকে আর ওর গলায় বেড়ি পরিয়ে দাও৷ তারপর জাহান্নামে নিক্ষেপ করো এবং সত্তর হাত লম্বা শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলো৷ সে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করতোনা এবং দুস্থ মানুষের খাদ্য দিতে উৎসাহিত করতোনা। তাই আজকে এখানে তার সমব্যথী কোন বন্ধু নেই”। (সূরা হাক্কাহঃ ১৫-১৮) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَىٰ رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلَاقِيهِ فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا وَيَنقَلِبُ إِلَىٰ أَهْلِهِ مَسْرُورًا وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا وَيَصْلَىٰ سَعِيرًا إِنَّهُ كَانَ فِي أَهْلِهِ مَسْرُورًا إِنَّهُ ظَنَّ أَن لَّن يَحُورَ بَلَىٰ إِنَّ رَبَّهُ كَانَ بِهِ بَصِيرًا﴾
“হে মানুষ! তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তোমার রবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছো, পরে তাঁর সাথে সাক্ষাত করবে৷ তারপর যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হয়েছে তার কাছ থেকে হালকা হিসাব নেয়া হবে এবং সে হাসিমুখে নিজের লোকজনের কাছে ফিরে যাবে৷
আর যার আমলনামা তার পিছন দিক দেয়া হবে৷ সে মৃত্যুকে ডাকবে এবং জ্বলন্ত আগুনে গিয়ে পড়বে৷ সে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে আনন্দে ডুবে ছিল৷ সে মনে করেছিল, তাকে কখনো ফিরতে হবেনা৷ না ফিরে সে পারতো কেমন করে? তার রব তার কার্যকলাপ দেখছিলেন”। (সূরা ইনশিকাকঃ ৫-১৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿وَعُرِضُوا عَلَىٰ رَبِّكَ صَفًّا لَّقَدْ جِئْتُمُونَا كَمَا خَلَقْنَاكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ ۚ بَلْ زَعَمْتُمْ أَلَّن نَّجْعَلَ لَكُم مَّوْعِدًا وَوُضِعَ الْكِتَابُ فَتَرَى الْمُجْرِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا فِيهِ وَيَقُولُونَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هَٰذَا الْكِتَابِ لَا يُغَادِرُ صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً إِلَّا أَحْصَاهَا ۚ وَوَجَدُوا مَا عَمِلُوا حَاضِرًا ۗ وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا﴾
“এবং সবাইকে তোমার রবের সামনে লাইনবন্দী করে পেশ করা হবে৷ নাও দেখে নাও, তোমরা এসে গেছো তো আমার কাছে ঠিক তেমনিভাবে যেমনভাবে আমি তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম৷ তোমরা তো মনে করেছিলে আমি তোমাদের জন্য কোনো প্রতিশ্র“ত ক্ষণ নির্ধারিতই করিনি৷ আর সেদিন আমলনামা সামনে রেখে দেয়া হবে৷ সে সময় তোমরা দেখবে অপরাধীরা নিজেদের জীবন খাতায় যা লেখা আছে সে জন্য ভীত হচ্ছে এবং তারা বলছে, হায়! আমাদের দুর্ভাগ্য, এটা কেমন খাতা, আমাদের ছোট বড় এমন কোনো কিছুই এখানে লেখা থেকে বাদ পড়েনি৷ তাদের যে যা কিছু করেছিল সবই নিজের সামনে উপস্থিত পাবে এবং তোমার রব কারোর প্রতি যুলুম করবেন না”। (সূরা কাহাফঃ ৪৮-৪৯) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿يَوْمَ تُبَدَّلُ الْأَرْضُ غَيْرَ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتُ ۖ وَبَرَزُوا لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ وَتَرَى الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ مُّقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ سَرَابِيلُهُم مِّن قَطِرَانٍ وَتَغْشَىٰ وُجُوهَهُمُ النَّارُ لِيَجْزِيَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ هَٰذَا بَلَاغٌ لِّلنَّاسِ وَلِيُنذَرُوا بِهِ وَلِيَعْلَمُوا أَنَّمَا هُوَ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ﴾
“তাদেরকে সেই দিনের ভয় দেখাও যেদিন পৃথিবী ও আকাশকে পরিবর্তিত করে অন্য রকম করে দেয়া হবে এবং সবাই এক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর সমানে উন্মুক্ত হয়ে হাযির হবে৷ সেদিন তোমরা অপরাধীদের দেখবে, শিকলে তাদের হাত পা বাঁধা, আলকাতরার পোশাক পরে থাকবে এবং আগুনের শিখা তাদের চেহারা ঢেকে ফেলতে থাকবে৷ এটা এ জন্য হবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকে তার কৃতকর্মের বদলা দেবেন৷ হিসাব নিতে আল্লাহর একটুও দেরী হয়না৷ এটি একটি পয়গাম সব মানুষের জন্য এবং এটি পাঠানো হয়েছে এ জন্য যাতে এর মাধ্যমে তাদেরকে সতর্ক করা যায় এবং তারা জেনে নেয় যে, আসলে আল্লাহ মাত্র একজনই আর যারা বুদ্ধি-বিবেচনা রাখে তারা সচেতন হয়ে যায়”। (সূরা ইবরাহীমঃ ৪৯- ৫২) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿رَفِيعُ الدَّرَجَاتِ ذُو الْعَرْشِ يُلْقِي الرُّوحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ لِيُنذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ يَوْمَ هُم بَارِزُونَ ۖ لَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْهُمْ شَيْءٌ ۚ لِّمَنِ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ۖ لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِالْيَوْمَ تُجْزَىٰ كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ ۚ لَا ظُلْمَ الْيَوْمَ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ﴾
“তিনি উচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি৷ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার কাছে ইচ্ছা নিজের হুকুমে অহী নাযিল করেন। যাতে সে সাক্ষাতের দিন স¤পর্কে সাবধান করে দেয়৷ সেটি এমন দিন যখন সব মানুষের সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়বে৷ আল্লাহর কাছে তাদের কোন কথাই গোপন থাকবেনা৷ সেদিন ঘোষণা দিয়ে জিজ্ঞেস করা হবেঃ আজ রাজত্ব কার? সমস্ত সৃষ্টি বলে উঠবেঃ একমাত্র আল্লাহর যিনি পরাক্রমশালী। আজ প্রত্যেক প্রানীকে তার কৃতকর্মের প্রতিদান দেয়া হবে৷ আজ কারো প্রতি কোন যুলুম হবেনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী”। (সূরা মুমিনঃ ১৫-১৭) আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
﴿وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ﴾
“যেদিন তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে সেদিনকে ভয় করো৷ সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার উপার্জিত সৎকর্মের ও অপকর্মের পুরোপুরি প্রতিদান দেয়া হবে এবং কারো উপর কোন যুলুম করা হবেনা”। (সূরা বাকারাঃ ২৮১) (চলবে)

No comments:

Post a Comment