হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, মহানবী সা. বলেন, আমি অচিরেই লোকদের উপর এমন একটি সময় আসার আশংকা করছি, যখন কেবলমাত্র নাম ছাড়া ইসলামের আর কিছুই বাকি থাকবে না এবং
কুরআনের লিখিত রূপটি ছাড়া তার বাস্তবায়ন থাকবে না। মসজিদগুলো চাকচিক্যে ভরপুর হলেও হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হবে। ঐ সময়কার আলেমরা হবে আসমানের নিচে বিচরণকারী সর্বনিকৃষ্ট জীব। তাদের থেকেই বিভিন্ন ফিৎনা ছড়াবে এবং তারা নিজেরাও সেই ফিৎনায় আবর্তিত হবে।” (বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, সহীহ)
হযরত কা’ব ইবনে উজরত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদিন প্রিয়নবী সা. আমাদের মাঝে আসলেন তখন আমরা নয়জন এক স্থানে ছিলাম। তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন, জেনে রাখো আমার পর অচিরেই অনেক জালিম শাসক আসবে। যারা সেই সকল শাসকদের সাথে আঁতাত করবে, তাদের অন্যায় গুলোকে সমর্থন দিবে এবং তাদের জুলুমে সহযোগিতা করবে, সে আমার উম্মত নয় এবং আমিও তার দায়িত্ব নিবো না এবং (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের সামনে আসতে দেয়া হবে না।
আর যারা সেই সকল জালিম শাসকদের সাথে আঁতাত করবে না, তাদের জুলুমে সহায়তা করবে না বরং তাদের অন্যায়সমূহের বিরোধিতা করবে তারা আমার উম্মত এবং আমি তাদের দায়িত্ব নিবো এবং তাদেরকে (কিয়ামতের দিন) হাউজে কাউসারের পানি পান করানো হবে।” (সহীহ তিরমীজি ও নাসায়ী, হাদীস নং ৪২০৭)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ অচিরেই আমার উম্মতের মাঝে কিছু সংখ্যক লোক দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করবে এবং কুরআন মাজীদ পড়বে। তারা বলবে, ‘আমরা রাস্ট্রনায়ক ও ক্ষমতাসীনদের কাছে যাই তাদের পার্থিব স্বার্থে কিছুটা ভাগ বসানোর জন্য এবং আমরা নিজেদের দীঙ্কে অক্ষুন্য রেখেই তাদের নিকট হতে সরে পড়ব।’ কিন্তু তা সম্ভব নয়। যেমন কাঁটাযুক্ত কাতাদ গাছ থেকে কাঁটা ব্যতীত কোন ফল লাভ করা যায় না, তেমনি এদের নিকট থেকেও কোন ফল লাভ করা যায় না, কিন্তু……।” [ইবনে মাজাহ]
রাবী মুহাম্মাদ ইউনুস সাব্বাহ (রঃ) বলেন, ‘রাষ্ট্রনায়ক ও ক্ষমতাসীনদের নৈকট্য দ্বারা গুনাহ ব্যতীত আর কিছুই লাভ করা যায় না।’ কিন্তু শব্দ দ্বারা রাসুল (সাঃ) সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, “আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট আলেম হল তারা, যারা সমসাময়িক শাসক গোষ্ঠীর দরবারে যাতায়াত করে।” [ইবনে মাজাহ]
রাবী মুহারিবী (রঃ) বলেন, ‘এখানে শাসক গোষ্ঠী বলতে সমসাময়িক স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে।’ LINK
কুরআনের লিখিত রূপটি ছাড়া তার বাস্তবায়ন থাকবে না। মসজিদগুলো চাকচিক্যে ভরপুর হলেও হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হবে। ঐ সময়কার আলেমরা হবে আসমানের নিচে বিচরণকারী সর্বনিকৃষ্ট জীব। তাদের থেকেই বিভিন্ন ফিৎনা ছড়াবে এবং তারা নিজেরাও সেই ফিৎনায় আবর্তিত হবে।” (বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, সহীহ)
হযরত কা’ব ইবনে উজরত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদিন প্রিয়নবী সা. আমাদের মাঝে আসলেন তখন আমরা নয়জন এক স্থানে ছিলাম। তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন, জেনে রাখো আমার পর অচিরেই অনেক জালিম শাসক আসবে। যারা সেই সকল শাসকদের সাথে আঁতাত করবে, তাদের অন্যায় গুলোকে সমর্থন দিবে এবং তাদের জুলুমে সহযোগিতা করবে, সে আমার উম্মত নয় এবং আমিও তার দায়িত্ব নিবো না এবং (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের সামনে আসতে দেয়া হবে না।
আর যারা সেই সকল জালিম শাসকদের সাথে আঁতাত করবে না, তাদের জুলুমে সহায়তা করবে না বরং তাদের অন্যায়সমূহের বিরোধিতা করবে তারা আমার উম্মত এবং আমি তাদের দায়িত্ব নিবো এবং তাদেরকে (কিয়ামতের দিন) হাউজে কাউসারের পানি পান করানো হবে।” (সহীহ তিরমীজি ও নাসায়ী, হাদীস নং ৪২০৭)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ অচিরেই আমার উম্মতের মাঝে কিছু সংখ্যক লোক দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করবে এবং কুরআন মাজীদ পড়বে। তারা বলবে, ‘আমরা রাস্ট্রনায়ক ও ক্ষমতাসীনদের কাছে যাই তাদের পার্থিব স্বার্থে কিছুটা ভাগ বসানোর জন্য এবং আমরা নিজেদের দীঙ্কে অক্ষুন্য রেখেই তাদের নিকট হতে সরে পড়ব।’ কিন্তু তা সম্ভব নয়। যেমন কাঁটাযুক্ত কাতাদ গাছ থেকে কাঁটা ব্যতীত কোন ফল লাভ করা যায় না, তেমনি এদের নিকট থেকেও কোন ফল লাভ করা যায় না, কিন্তু……।” [ইবনে মাজাহ]
রাবী মুহাম্মাদ ইউনুস সাব্বাহ (রঃ) বলেন, ‘রাষ্ট্রনায়ক ও ক্ষমতাসীনদের নৈকট্য দ্বারা গুনাহ ব্যতীত আর কিছুই লাভ করা যায় না।’ কিন্তু শব্দ দ্বারা রাসুল (সাঃ) সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন।
রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, “আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট আলেম হল তারা, যারা সমসাময়িক শাসক গোষ্ঠীর দরবারে যাতায়াত করে।” [ইবনে মাজাহ]
রাবী মুহারিবী (রঃ) বলেন, ‘এখানে শাসক গোষ্ঠী বলতে সমসাময়িক স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে।’ LINK
No comments:
Post a Comment