Thursday, July 31, 2014

তালাক দেয়ার সুন্নাহ সমর্থিত নিয়ম

Source LINK 
মূলত তালাক দেয়ার সুন্নাহ সমর্থিত নিয়ম হলো, একবার কেবল এক তালাক দেয়া। এরপর তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করা। যদি বনিবনা হয়ে যায়, তাহলে এর মধ্যে ঋতু পরবর্তী পবিত্রতাকালীন সময়ে স্বামী তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে। আর যদি বনিবনা না হয়, তাহলে তিন ঋতু অতিবাহিত হলে বিবাহ ভেঙে যাবে। তবে দেখুন ইসলামের মাহাত্ম্য.. এখন আবার স্বামী-স্ত্রী বিবাহ করতে চাইলে মাঝখানে অন্য কোনো বিয়ে লাগবে না। স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে বিয়ে করে নিতে পারবে। এভাবে আবার প্রয়োজন হলে দ্বিতীয় তালাক দিতে পারবে স্বামী। এরপর আবার তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। চাইলে ফিরিয়ে নিবে, না ফেরালে বিয়ে ভেঙে যাবে। বিয়ে ভাঙ্গার পর চাইলে অন্য কোনো বিয়ে ছাড়াই আবার ফিরিয়ে নিতে পারবে। দেখুন, দুই দুই বার তালাক দেয়ার পর অন্য কারো সঙ্গে বিয়ে ছাড়া ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা ইসলাম রেখেছে।

তালাক মানে কী? জীবনের এক বড় বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেয়া। বন্ধন ভেঙে গেলে বা ভেঙে দিলে তা কয় বার জোড়া লাগতে পারে? একবার? দুইবার? এরপরও যদি এই বন্ধন ভেঙে দেয়া হয়, তাহলে তা আর জোড়া লাগার অবকাশ রাখে না। জোড়া লাগলেও সে বন্ধনের আর মূল্য থাকে না। তখন তা নিছক বালিকার হাতের পুতুল হয়ে যায়। চাইলে সে তাকে নিয়ে খেলে, চাইলে তা ভেঙে ফেলে।
এজন্য তৃতীয়বার তালাক দেয়ার পর বিয়ে পুরোপুরি ভেঙে যায়। তখন আর তিন ঋতু পর্যন্ত ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে না। তখন বরং ইসলাম নারীর পক্ষে থাকে। স্বামীর অত্যাচার থেকে সরিয়ে নিতে ইসলাম নারীকে পছন্দমতো দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করার সুযোগ দেয় এবং প্রথম স্বামী আবার ফিরিয়ে নিতে চাইলেও তাকে সহজে এ সুযোগ দেয়া হয় না। বরং দ্বিতীয়বার সে নারীর অন্যত্র বিয়ে হলে এবং সে স্বামী স্বেচ্ছায় তালাক দিলে ইদ্দত পার হবার পরেই কেবল প্রথম স্বামী তাকে গ্রহণ করতে পারে। এই স্বাভাবিক বিয়েই যখন হয় কেবলই প্রথম স্বামীর কাছে ফিরে আসার জন্য তখন সেটাকেই ‘হিল্লা বিয়ে’ নামে নামকরণ করা হয়। এটি একটি অপপদ্ধতি। এটি কোনো ইসলামী পদ্ধতি নয়। সুতরাং এর জন্য ইসলাম দায়ী হতে পারে না। দায়ী হবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণই।

No comments:

Post a Comment