Wednesday, July 30, 2014

বাংলাদেশের আদালতে ফতোয়া

বাংলাদেশের আদালতে ফতোয়া


ফতোয়ার কেতাবী সংজ্ঞায় না গিয়ে সহজে বলা যায় ফতোয়া বিশেষজ্ঞ আলেমের মতামত বা সমাধান, কোনো বিচারিক রায় নয়। অর্থাৎ ইসলামের কোনো ইবাদত বা বিধি-বিধান সম্পর্কে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিশেষজ্ঞ আলেমের মতামত, পরামর্শ বা সমাধানকে ফতোয়া বলে। এটা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুরু হয়েছে এবং কিয়ামত অবধি চলবে।

নওগাঁর এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনাকাঙ্ক্ষিত এক গ্রাম্য শালিসের জেরে ২০০১ সালে বিচারপতি গোলাম রব্বানী ও হাবিবুর রহমানের বেঞ্চ ফতোয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে সারা দেশ জেগে ওঠে। উলামায়ে কিরামের আন্দোলনে কয়েকজন ব্যক্তি প্রাণও হারান। বাংলাদেশের শীর্ষ দুই শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক এবং মুফতী আমিনী গ্রেফতার হন। প্রতিবাদে সারা দেশের তাওহিদী জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পেছনে এ রায় এবং তৎপরবর্তী ঘটনাবলি বিরাট ভূমিকা রাখে।
কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি জামাতজোট এই রায়ের কার্যক্রম স্থগিত রাখে। ২০০৯ সালে আওয়ামী জোট পুনরায় ক্ষমতায় এলে আবার এ মামলার কার্যক্রম সচল করা হয়। ২০১১ সালে হাইকোর্টে ফতোয়াবিরোধী রায় বহাল রাখে। আবারও সারা দেশে ক্ষোভে উত্তাল হলে আদালত পাঁচজন শীর্ষ আলেমকে এ্যামিকাস কিউরি নিযুক্ত করেন। তীব্র আন্দোলন এবং শীর্ষ আলেমদের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতার প্রভাবে অবশেষে ওই বছরের ১২ মে সুপ্রিমকোর্ট এর নিষ্পত্তি করে।
এতে বলা হয়, ‘ইসলামী বিধিবিধান সম্পর্কে ইসলামী বিশেষজ্ঞ আলেমরা ফতোয়া দিতে পারবেন। তবে এটা কোনো বিচারিক রায়ের মতো হবে না বা বাস্তবায়ন করা যাবে না।’ এ বিষয়ে আলেমরাও একমত। শরীয়তের বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকার বা আদালতের, কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের নয়।
--------------------------------- Source LINK

No comments:

Post a Comment