The END Time Symptom :
মুনাফিক-ও কুরআন পড়বে
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আমার উম্মতের জীবনে এমন একটি যুগ আসবে, তখন (কুরআনের) পাঠ বেড়ে যাবে, দীন বুঝবার মতো মানুষ কম হবে, ইলম তুলে নেওয়া হবে এবং হারজ বেশি হবে”।- জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হারজ’ কি ইয়া রাসুলাল্লাহ! নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হারজ হল পারস্পরিক খুনাখুনি। তারপর এমন একটি সময় আসবে, যখন মানুষ কুরআন পাঠ করবে; কিন্তু কুরআন তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। যখন মুনাফিক (মুসলিম নামধারী দ্বিমুখী), কাফির (আল্লাহর দ্বীন অস্বীকারকারী) ও মুশরিকরা (মূর্তিপূজারীরা) মুমিনদের সঙ্গে (ধর্ম বিষয়ে) বিবাদে লিপ্ত হবে”। (আল মুসতাদরাক, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫০৪)
আমাদের এই যুগটিই সেই যুগ। এ যুগে নানা জাগতিক বিদ্যার বিশেষজ্ঞের অভাব নেই। মানুষ এক একজন এক এক বিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জন করছে। মাস্টার ডিগ্রী ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করছে। কিন্তু দ্বীনের বিদ্যায় বিদ্বান মানুষের সংখ্যা কম – একেবারেই নগণ্য। কুরআন হাদীস তথা ইসলাম বুঝবার মতো মানুষ খুবই অল্প। জাগতিক বিদ্যার সাগর তো অনেকই চোখে পড়ছে; কিন্তু দ্বীনি ইলমের অধিকারী মুসলমান খুঁজে পাওয়া বড়ই কঠিন। এদিকে মানুষের আগ্রহ একেবারেই কম।
মুনাফিক ও কাফির মুশরিকরা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতকে অবলম্বন করে, অস্ত্র বানিয়ে সত্যের অনুসারীদের সঙ্গে তর্ক-বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে এবং নিজের ভ্রান্তধারাকে কুরআন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।
হযরত আবু আমির আশআ’রি (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“ আমি যে কটা ব্যাপারে আমার উম্মতের জন্য আশংকা অনুভব করছি, তার মধ্যে বেশি আশংকাজনক বিষয়টি হল, তারা বিপুল ধন সম্পদের মালিক হয়ে যাবে, যার ফলে তারা একে অপরকে হিংসা করবে এবং আপসে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে। আর তাদের জন্য কুরআন পড়া সহজ হয়ে যাবে। ফলে সৎকর্মপরায়ণ, পাপিষ্ঠ ও মুনাফিক সবাই কুরআন পড়বে। তারা সমাজে ফিতনা বিস্তার ও অপব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুরআনের সূত্রে মুমিনদের সাথে তর্ক বিবাদে লিপ্ত হবে। অথচ কুরআনে এমন কিছু আয়াত আছে, যেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। পক্ষান্তরে যারা গভীর জ্ঞানের অধিকারী, তারা বলবে, আমরা এই কুরআনের উপর পুরোপুরি ঈমান রাখি”।
(আল আহাদীসুল মাছানী খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৪৫৩)
সম্পদের আধিক্য এযুগে একটি ব্যাপক বিষয়। আরবদেশগুলোতে সম্পদের বন্যা বইছে, যার ফলে যতসব ফিতনা ও অনাচার জন্ম নিচ্ছে। কুরআন পড়া এত সহজ হয়ে গেছে যে, আজকাল পবিত্র কুরআন ইংরেজী এবং বাংলা উচ্চারণে পড়া যাচ্ছে। ফলে কারও যদি সরাসরি আরবি বর্ণে কুরআন পাঠ করার যোগ্যতা নাও থাকে, সে ইচ্ছে করলে ইংরেজি বা বাংলায় কুরআন পড়তে পারছে।
ইদানিং ‘উচ্চারন কুরআনে’র রমরমা ব্যবসাও গড়ে উঠেছে। ফলে আজকাল ফাসিক-মুনাফিকদেরও কুরআন পড়তে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোন রকম যোগ্যতা ছাড়াই কুরআন বিষয়ে মতামত প্রদাণ করছে। তুরস্ক, মিসর, তিউনিসিয়া ও আমিরাতের পর এখন আমাদের দেশেও সেইসব লোক কুরআনের তাফসীর করছে, যাদের ইসলাম বিষয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলো একদিকে ফিল্ম ড্রামার কাজ করে জাতিকে অশ্লীলতা ও চরিত্রহীনতার পাঠ শেখাচ্ছে, অপরদিকে সেসব আয়াতে মতামত প্রদান করছে, যেগুলোর জ্ঞান আল্লাহ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। C/O, Amin Baig LINK
No comments:
Post a Comment