হাদীসের বাণী
১)
"من تشبه بقوم فهو منهم"
-----------------আল-হাদীস - তাবারানী
২)
"المرء مع من أحب"
যার সাথে যার (ইহলোকে) ভালবাসার সম্পর্ক থাকবে (পরকালে) সে তার সাথে-ই থাকবে । -------- সহীহ মুসলিম
৩)
৩)
"الأرواح جنود مجندة فما تعارف منها ائتلف، وما تناكر منها اختلف" .
( সৃষ্টির শুরু থেকে-ই ) রুহ সমূহ দলে দলে বিভক্ত । ( সেই সময় ) যে রুহ সমূহ একে অপরের পরিচয় লাভ করল তারা ( ইহকালে ) পারস্পরিক ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হল । আর যে সকল রুহ একে অপরকে অপছন্দ করল তারা (ইহকালে) ইখতিলাফ করল ।
------ আল-হাদীস ( সহীহ মুসলিম )
৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অন্যান্য নবীর মুকাবিলায় আমাকে ছয়টি বিষয় দ্বারা বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করা হয়েছে,
১. আমাকে অল্প কথায় বেশি ভাবপ্রকাশের যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে,
২. আমাকে গাম্ভীর্যজনিত প্রতাপ-প্রতিপত্তি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে,
৩. আমার জন্য গণীমতের মাল হালাল করে দেওয়া হয়েছে,
৪. সমগ্র ভূপৃষ্ঠকে আমার জন্য নামায পড়ার উপযোগী জায়গা ও পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ হিসেবে স্থির করা হয়েছে,
৫. আমাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের রাসূলরূপে প্রেরণ করা হয়েছে,
৬. আমার দ্বারা নবীদের সিলসিলার পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়েছে।’’
{সহীহ মুসলিম, মাসাজিদ, হাদীস : ৫২৩}
৫) কাঁকর যুক্ত ভূমির উপর দিয়ে অন্ধকার রাতে পিঁপড়া যেমন সন্তর্পণে অগ্রসর হয় ----- শিরক-ও তেমনি নীরবে অনুপ্রবেশ করে । বরং শিরক এর চেয়ে-ও সন্তর্পণে আগমণ করে । জুলুমের প্রতি তোমার কিছুটা আকর্ষণ এবং ইনসাফের প্রতি কিছুটা ঘৃণা-ও সাধারণ পর্যায়ের শিরক । আর আকর্ষণ ও ভালবাসা এবং ঘৃণা ও অসন্তোষ-ই তো হচ্ছে দীন । LINK
الشرك أخفى من دبيب الذر على الصفا في الليلة الظلماء ، وأدناه أن تحب على شيء من الجور ، وتبغض على شيء من العدل ، وهل الدين إلا الحب والبغض ، قال الله عز وجل : { قل إن كنتم تحبون الله فاتبعوني يحببكم الله }
الراوي: عائشة المحدث: المنذري - المصدر: الترغيب والترهيب - الصفحة أو الرقم: 4/87
خلاصة حكم المحدث: [إسناده صحيح أو حسن أو ما قاربهما]
৬) খেযাব ========>> রাসূল (ছাঃ) বলেন, শেষ যামানায় একশ্রেণীর লোক চুল-দাড়িতে কালো রং দ্বারা দিবে। দেখতে কবুতরের বুকের মত সুন্দর লাগবে। তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবুদাউদ হা/৪২১২)।
বরং মেহেদী লাগাবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৫১)।- দাড়ি কাটা, ছাঁটা, চাছা কোনটিই শরী‘আত সম্মত নয় (আবূদাঊদ, নাসাঈ, তাবারাণী মিশকাত হা/৪৪৫২)।
বরং গোঁফ ছাটবে ও দাড়ি ছেড়ে দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)।
৭) আ’লেম সম্প্রদায় ========>
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন সুমহান আল্লাহ বলবেন, “হে আলেম সম্প্রদায়! হে আলেম সম্প্রদায়! আমার পরিচয় প্রকাশের জন্য তোমাদেরকে আমি ই’লম (জ্ঞান) দান করেছি। তোমরা দাঁড়াও, নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” ------ হাদীসে কুদসী (এ হাদীসটি তিবী হযরত জাবির (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন। )
হযরত হুযাইফা রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন, কাপড়ের কারুকার্য যেমন মুছে ও অস্পষ্ট হয়ে যায় তদ্রূপ ইসলামও এক সময় অস্পষ্ট হয়ে যাবে । এমনকি লোকেরা এটাও অবগত থাকবে না যে, রোজা কি জিনিস এবং হজ্জ কি জিনিস । একটি রাত আসবে যখন অন্তর সমূহ হতে কুরআন তুলে নেওয়া হবে, এবং জমীনের উপর তার একটি আয়াতও বাকী থাকবে না । বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বৃদ্ধ পুরুষ ও বৃদ্ধ মহিলা বাকী থাকবে, যারা বলবে যে, আমরা আমাদের মুরুব্বীদের নিকট হতে এই কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ“ শুনেছিলাম, এজন্য আমরা এ কালিমা পড়ে থাকি । হযরত হুজাইফা রাঃ –এর ছাত্র সিলাহ ইবনে যুফার জানতে চাইলেন, যখন তারা রোজা, সদকা, হজ্জ, সম্বন্ধে জানবে না, তখন শুধু এই কালিমা তাদের কি ফায়দা দিবে ? হযরত হুজাইফা রাঃ কোন জবাব দিলেন না । তিনি তিন বার একই প্রশ্ন করলেন । প্রতিবারেই হযরত হুযাইফা রাঃ জওয়াব দেওয়া হতে বিরত রইলেন । তৃতীয়বার (পীড়াপীড়ি) করার পর তিনি বললেন, “হে সিলাহ! এই কালিমা-ই তাদেরকে দোযখ হতে নাজাত প্রদান করবে ।
----------------------------------- আল-হাদীস (মুস্তাদরাক-এ-হাকিম)
He said: "When you pray you are talking confidentially to your Lord. So look to what you confide to Him, and do not say {recite} the Quran out loud so that others hear it {out of courtesy}."
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ التَّمَّارِ، عَنِ الْبَيَاضِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى النَّاسِ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَقَدْ عَلَتْ أَصْوَاتُهُمْ بِالْقِرَاءَةِ فَقَالَ " إِنَّ الْمُصَلِّيَ يُنَاجِي رَبَّهُ فَلْيَنْظُرْ بِمَا يُنَاجِيهِ بِهِ وَلاَ يَجْهَرْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ بِالْقُرْآنِ " .
{Muwatta of Imam Malik ~ Book of Prayer ~ Book 3, Hadith #177}
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Sa'id that Sa'id ibn al-Musayyib used to say:
"Whoever prays on waterless, desolate land; an angel prays on his right and an angel prays on his left. When he calls both the Adhan and the Iqama for the prayer, or calls out the Iqama, angels like mountains pray behind him."
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ صَلَّى بِأَرْضِ فَلاَةٍ صَلَّى عَنْ يَمِينِهِ مَلَكٌ وَعَنْ شِمَالِهِ مَلَكٌ فَإِذَا أَذَّنَ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ أَوْ أَقَامَ صَلَّى وَرَاءَهُ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ أَمْثَالُ الْجِبَالِ .
{Muwatta of Imam Malik ~ Book of Prayer ~ Book 3, Hadith #160}
(মুসলিম, অনুচ্ছেদ ৫২,হাদীস নং ২২১)
১৫) 'হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি।'[ইবনে মাজা : ৯১৫]
১৬) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণীত, রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ্র এমন দুটি নিয়ামত রয়েছে যে দুটি নিয়ামতের ব্যাপারে বান্দারা বড়-ই ধোঁকায় পড়ে যায়। তা হল সুস্থতা এবং অবসর। (বুখারীঃ ৬৪১২, তিরমিজিঃ ২৩০৪, রিয়াজুস স্বালেহীনঃ ৩/৯৮)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমাদের প্রতিপালক সে লোকের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যে আল্লাহ রাস্তায় জিহাদে অংশ নিয়েছে, অতঃপর তার সাথিরা পরাজিত হয়েছে। তখন সে বুঝতে পেরেছে তার পরিণামফল কি হবে, তথাপি সে পুনরায় জিহাদে শরিক হয়েছে এমনভাবে যে, রক্তপাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তখন মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্ স্বীয় ফেরেশতাদেরকে বললেন, “তোমরা আমার এ বান্দার দিকে খেয়াল করে দেখ, আমার কাছে যে পুরস্কার রয়েছে তাতে সে আকৃষ্ট হয়েছে এবং আমার কাছে যে অনুগ্রহ রয়েছে তা পাওয়ার আশায় সে আবার জিহাদে অংশ নিয়েছে। এমনকি সে তার জীবন উৎসর্গ করেছে।”আবূ দাঊদ এ হাদীসটি হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছে।
চাচ্ছি বার্ধক্যের চরম পর্যায় থেকে। দুনিয়ার ফিতনা-ফাসাদ ও কবরের আজাব হতে।"
(সহীহুল বুখারী হা/৫৮৮৮)
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আত্ম মর্যাদাবোধ করেন। আর আল্লাহর আত্ম মর্যাদা জেগে ওঠে তখন যখন কোনো মানুষ এমন কাজ করে ফেলে, যা তিনি তার উপর হারাম করেছেন।’’ সহীহুল বুখারী ৫২২২, ৫২২৩, তিরমিযী ১১৬৮, আহমাদ ২৬৪০৩, ২৬৪২৯, ২৬৪৩
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ
(হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নে‘মত চলে যাওয়া হ’তে, আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হ’তে, আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হ’তে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হ’তে)।
اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হ’তে, দুর্ভোগের আক্রমণ হ’তে, মন্দ ফায়সালা হ’তে এবং শত্রুর খুশী হওয়া থেকে ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মাত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল,
কী কী? তিনি বললেনঃ
▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত
সম্পত্তি মনে করা হবে
▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)
▣ যাকাতকে জরিমানার মতন মনে করা হবে
▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে
▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে
▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে
▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী
▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে
▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে
▣ উম্মাতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে তখন আগুনে বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।”
সহীহ তিরমিযী
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
আততারগীব ওয়াত তারহীব- ৩য় খন্ড (১৫৪১)
collected from brother Zia Monjur
হাযরামী......ইবনে হাওয়ালা(রাঃ)
বর্ণিত।
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ(সাঃ)
ইরশাদ করেছেনঃ-"অদূর
ভবিষ্যতে ইসলামী হুকুমাত এমন
বিস্তার লাভ করবে যে,
তোমরা সকলে সংগঠিত
সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে;
একটি সেনাবাহিনী সিরিয়ায়,অপরটি ইয়ামানে এবং আরও
একটি ইরাক্বে গঠিত হবে।"
এরূপ
ভবিষ্যতবাণী শুনে ইবনে হাওয়ালা(রাঃ)
জিজ্ঞাস করলেন,
ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ)!
আমি যদি উক্ত সময়টি পাই,
তবে আমার জন্য কোথায় থাকা উত্তম
হবে?
তিনি(সাঃ) বললেনঃ-"তোমার
জন্য সিরিয়ায় থাকা উত্তম হবে।
কারণ তা হবে আল্লাহ তা'আলার
যমিন সমূহের মধ্যে বাছাইকৃত
সর্বোত্তম যমিন। আল্লাহর নেক
বান্দাগণ উক্ত যমিন চয়ন করে নিবেন,
তোমরা যখন তাতে বসতি স্থাপন
করবে তখন তোমাদের ডান দিক
বেঁছে নেবে এবং প্রথমেই পানির
কূপ খননের ব্যাবস্থা করবে।
কারণআল্লাহ তা'আলা আমার
উসিলায় সিরিয়া ও তার
অধিবাসীদের ভরণ পোষণের
দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।"
-সুনানে আবূ দাউদ, খণ্ড ৩,
হাদীসঃ২৪৭৫,ইসলামিক ফাউন্ডেশন
কর্তৃক প্রকাশিত।
৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অন্যান্য নবীর মুকাবিলায় আমাকে ছয়টি বিষয় দ্বারা বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করা হয়েছে,
১. আমাকে অল্প কথায় বেশি ভাবপ্রকাশের যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে,
২. আমাকে গাম্ভীর্যজনিত প্রতাপ-প্রতিপত্তি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে,
৩. আমার জন্য গণীমতের মাল হালাল করে দেওয়া হয়েছে,
৪. সমগ্র ভূপৃষ্ঠকে আমার জন্য নামায পড়ার উপযোগী জায়গা ও পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ হিসেবে স্থির করা হয়েছে,
৫. আমাকে সমগ্র সৃষ্টি জগতের রাসূলরূপে প্রেরণ করা হয়েছে,
৬. আমার দ্বারা নবীদের সিলসিলার পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়েছে।’’
{সহীহ মুসলিম, মাসাজিদ, হাদীস : ৫২৩}
৫) কাঁকর যুক্ত ভূমির উপর দিয়ে অন্ধকার রাতে পিঁপড়া যেমন সন্তর্পণে অগ্রসর হয় ----- শিরক-ও তেমনি নীরবে অনুপ্রবেশ করে । বরং শিরক এর চেয়ে-ও সন্তর্পণে আগমণ করে । জুলুমের প্রতি তোমার কিছুটা আকর্ষণ এবং ইনসাফের প্রতি কিছুটা ঘৃণা-ও সাধারণ পর্যায়ের শিরক । আর আকর্ষণ ও ভালবাসা এবং ঘৃণা ও অসন্তোষ-ই তো হচ্ছে দীন । LINK
الشرك أخفى من دبيب الذر على الصفا في الليلة الظلماء ، وأدناه أن تحب على شيء من الجور ، وتبغض على شيء من العدل ، وهل الدين إلا الحب والبغض ، قال الله عز وجل : { قل إن كنتم تحبون الله فاتبعوني يحببكم الله }
الراوي: عائشة المحدث: المنذري - المصدر: الترغيب والترهيب - الصفحة أو الرقم: 4/87
خلاصة حكم المحدث: [إسناده صحيح أو حسن أو ما قاربهما]
৬) খেযাব ========>> রাসূল (ছাঃ) বলেন, শেষ যামানায় একশ্রেণীর লোক চুল-দাড়িতে কালো রং দ্বারা দিবে। দেখতে কবুতরের বুকের মত সুন্দর লাগবে। তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবুদাউদ হা/৪২১২)।
বরং মেহেদী লাগাবে (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৪৫১)।- দাড়ি কাটা, ছাঁটা, চাছা কোনটিই শরী‘আত সম্মত নয় (আবূদাঊদ, নাসাঈ, তাবারাণী মিশকাত হা/৪৪৫২)।
বরং গোঁফ ছাটবে ও দাড়ি ছেড়ে দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১)।
৭) আ’লেম সম্প্রদায় ========>
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন সুমহান আল্লাহ বলবেন, “হে আলেম সম্প্রদায়! হে আলেম সম্প্রদায়! আমার পরিচয় প্রকাশের জন্য তোমাদেরকে আমি ই’লম (জ্ঞান) দান করেছি। তোমরা দাঁড়াও, নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।” ------ হাদীসে কুদসী (এ হাদীসটি তিবী হযরত জাবির (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন। )
৮) জারজ সন্তানের আধিক্য ====>>
রসূল (সা) বলেছেনঃ আমার উম্মাত সর্বদা কল্যাণের উপর থাকবে যতক্ষণ তাদের মধ্যে জারজ সন্তানের আধিক্য দেখা না দিবে। যখন তাদের মধ্যে জারজ সন্তান বেড়ে যাবে তখনই আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে ব্যাপক আযাব দিবেন। --- সহীহ আত-তারগীব, হাদীস ২৪০০৯) ইস্তিখারা করা =====>>
সা‘দ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আদম সন্তানের সৌভাগ্যের বিষয়সমূহ থেকে একটি হল ইস্তিখারা করা এবং আল্লাহর ফয়সালার ওপর সন্তুষ্ট থাকা। আর মানুষের দুর্ভাগ্য হল ইসতেখারা না করা ও আল্লাহর ফয়সালার ওপর অসন্তুষ্ট থাকা।’ ---- [তিরমিযী : ২৩০৪; মুসনাদ আহমদ : ১৩৬৭]১০) কালিমার গুরুত্ব ====>>
হযরত হুযাইফা রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন, কাপড়ের কারুকার্য যেমন মুছে ও অস্পষ্ট হয়ে যায় তদ্রূপ ইসলামও এক সময় অস্পষ্ট হয়ে যাবে । এমনকি লোকেরা এটাও অবগত থাকবে না যে, রোজা কি জিনিস এবং হজ্জ কি জিনিস । একটি রাত আসবে যখন অন্তর সমূহ হতে কুরআন তুলে নেওয়া হবে, এবং জমীনের উপর তার একটি আয়াতও বাকী থাকবে না । বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু বৃদ্ধ পুরুষ ও বৃদ্ধ মহিলা বাকী থাকবে, যারা বলবে যে, আমরা আমাদের মুরুব্বীদের নিকট হতে এই কালিমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ“ শুনেছিলাম, এজন্য আমরা এ কালিমা পড়ে থাকি । হযরত হুজাইফা রাঃ –এর ছাত্র সিলাহ ইবনে যুফার জানতে চাইলেন, যখন তারা রোজা, সদকা, হজ্জ, সম্বন্ধে জানবে না, তখন শুধু এই কালিমা তাদের কি ফায়দা দিবে ? হযরত হুজাইফা রাঃ কোন জবাব দিলেন না । তিনি তিন বার একই প্রশ্ন করলেন । প্রতিবারেই হযরত হুযাইফা রাঃ জওয়াব দেওয়া হতে বিরত রইলেন । তৃতীয়বার (পীড়াপীড়ি) করার পর তিনি বললেন, “হে সিলাহ! এই কালিমা-ই তাদেরকে দোযখ হতে নাজাত প্রদান করবে ।
----------------------------------- আল-হাদীস (মুস্তাদরাক-এ-হাকিম)
১১) একাকী দোয়া - মোনাজাত করলে অনুচ্চ স্বরে করতে হবে , পাশের জনকে যেন সৌজন্যতাবশতঃ কুরআন শুনতে মনযোগী হতে না হয় ===>
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Sa'id from Muhammad ibn Ibrahim ibn al Harith at-Taymi from Abu Hazim at-Tammar from al-Bayadi that the Messenger of Allah {ﷺ} came out to the people while they were praying and their voices were raised in the recitation.He said: "When you pray you are talking confidentially to your Lord. So look to what you confide to Him, and do not say {recite} the Quran out loud so that others hear it {out of courtesy}."
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ التَّمَّارِ، عَنِ الْبَيَاضِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى النَّاسِ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَقَدْ عَلَتْ أَصْوَاتُهُمْ بِالْقِرَاءَةِ فَقَالَ " إِنَّ الْمُصَلِّيَ يُنَاجِي رَبَّهُ فَلْيَنْظُرْ بِمَا يُنَاجِيهِ بِهِ وَلاَ يَجْهَرْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ بِالْقُرْآنِ " .
{Muwatta of Imam Malik ~ Book of Prayer ~ Book 3, Hadith #177}
১২) নির্জন উষর প্রান্তরে যে মুসল্লী আজান - ইকামত দিয়ে নামাজ আদায় করে তার মুক্তাদী হন পাহাড়সম ফেরেশ্তাগণ । ===> হাদীস - মুয়াত্তা -ই- ইমাম মালিক --->
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Sa'id that Sa'id ibn al-Musayyib used to say:
"Whoever prays on waterless, desolate land; an angel prays on his right and an angel prays on his left. When he calls both the Adhan and the Iqama for the prayer, or calls out the Iqama, angels like mountains pray behind him."
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ صَلَّى بِأَرْضِ فَلاَةٍ صَلَّى عَنْ يَمِينِهِ مَلَكٌ وَعَنْ شِمَالِهِ مَلَكٌ فَإِذَا أَذَّنَ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ أَوْ أَقَامَ صَلَّى وَرَاءَهُ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ أَمْثَالُ الْجِبَالِ .
{Muwatta of Imam Malik ~ Book of Prayer ~ Book 3, Hadith #160}
১৩) আখেরী যামানায় মানবাধিকার ===>>
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সোঃ) বলেছেনঃ "নিশ্চয়ই আমার পর দেখবে যে তোমাদের উপর অন্য কাউকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে এবং এমন অনেক বিষয় দেখবে যা তোমরা অপছন্দ করবে। সাহাবীগন জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তখনকার জন্য আমাদের কি আদেশ দিচ্ছেন? বললেনঃ তখন তোমাদের উপর যা অধিকার আছে তা তোমরা আদায় কর আর তোমাদের জন্য যা পাওনা আছে আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা কর। (রিয়াযুস সালেহীনঃ ৫১, বুখারী ও মুসলিম)১৪) আখেরী যামানার ফিতনা ===>
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ফিতনা ফাসাদ ও বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই তোমরা কল্যাণকর কাজে আত্মনিয়োগ করো। এ বিপর্যয় তোমাদেরকে অন্ধকার রাতের মতো গ্রাস করে নেবে। কোন ব্যক্তির ভোর হবে মুমিন অবস্থায় আর সন্ধ্যা হবে কাফের অবস্থায়। আর তার সন্ধ্যা হবে মুমিন অবস্থায় আর সকাল হবে কাফের অবস্থায়। মানুষ দুনিয়ার সামান্যতম স্বার্থের বিনিময়ে নিজের দ্বীনকে বিকিয়ে দেবে।(মুসলিম, অনুচ্ছেদ ৫২,হাদীস নং ২২১)
১৫) 'হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র জীবিকা প্রার্থনা করি।'[ইবনে মাজা : ৯১৫]
১৬) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণীত, রাসুল সাল্লেল্লাহু আলাইহিম ওয়া সাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ্র এমন দুটি নিয়ামত রয়েছে যে দুটি নিয়ামতের ব্যাপারে বান্দারা বড়-ই ধোঁকায় পড়ে যায়। তা হল সুস্থতা এবং অবসর। (বুখারীঃ ৬৪১২, তিরমিজিঃ ২৩০৪, রিয়াজুস স্বালেহীনঃ ৩/৯৮)
১৭) মুজাহিদ ===>>
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেছেন, “আমার সন্তুষ্টি পাওয়ার আশায় আমার বান্দাদের মধ্যে যে আমার পথে জিহাদকারীরূপে ঘর থেকে বের হয়, যদি তাকে ফিরিয়ে আনি, তবে তাকে পুরস্কার ও গণীমতের মালসহ ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমিই গ্রহণ করি, আর যদি তার প্রাণ কেড়ে নেই, তবে তাকে মাফ করার, তার উপর অনুগ্রহ করার এবং তাকে বেহেশতে প্রবেশের দায়িত্বও আমার।”আহমদ ও নাসায়ী এ হাদীসটি হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।১৮) জিহাদ ===>>
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমাদের প্রতিপালক সে লোকের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যে আল্লাহ রাস্তায় জিহাদে অংশ নিয়েছে, অতঃপর তার সাথিরা পরাজিত হয়েছে। তখন সে বুঝতে পেরেছে তার পরিণামফল কি হবে, তথাপি সে পুনরায় জিহাদে শরিক হয়েছে এমনভাবে যে, রক্তপাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তখন মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্ স্বীয় ফেরেশতাদেরকে বললেন, “তোমরা আমার এ বান্দার দিকে খেয়াল করে দেখ, আমার কাছে যে পুরস্কার রয়েছে তাতে সে আকৃষ্ট হয়েছে এবং আমার কাছে যে অনুগ্রহ রয়েছে তা পাওয়ার আশায় সে আবার জিহাদে অংশ নিয়েছে। এমনকি সে তার জীবন উৎসর্গ করেছে।”আবূ দাঊদ এ হাদীসটি হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে সংগ্রহ করেছে।
19) নবীর দোয়া ====>>
"হে আল্লাহ ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি কৃপণতা থেকে এবং আশ্রয় চাচ্ছি কাপুরুষতা থেকে। আর আশ্রয়চাচ্ছি বার্ধক্যের চরম পর্যায় থেকে। দুনিয়ার ফিতনা-ফাসাদ ও কবরের আজাব হতে।"
(সহীহুল বুখারী হা/৫৮৮৮)
20) আল্লাহর আত্ম মর্যাদাবোধ ====>>
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা আত্ম মর্যাদাবোধ করেন। আর আল্লাহর আত্ম মর্যাদা জেগে ওঠে তখন যখন কোনো মানুষ এমন কাজ করে ফেলে, যা তিনি তার উপর হারাম করেছেন।’’ সহীহুল বুখারী ৫২২২, ৫২২৩, তিরমিযী ১১৬৮, আহমাদ ২৬৪০৩, ২৬৪২৯, ২৬৪৩
21) নবীর দোয়া ====>>
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ
(হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নে‘মত চলে যাওয়া হ’তে, আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হ’তে, আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হ’তে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হ’তে)।
22) নবীর দোয়া ====>>
اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হ’তে, দুর্ভোগের আক্রমণ হ’তে, মন্দ ফায়সালা হ’তে এবং শত্রুর খুশী হওয়া থেকে ।
23) মুসলিম সমাজে বিপদ ===>
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মাত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল,
কী কী? তিনি বললেনঃ
▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত
সম্পত্তি মনে করা হবে
▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)
▣ যাকাতকে জরিমানার মতন মনে করা হবে
▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে
▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে
▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে
▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী
▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে
▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে
▣ উম্মাতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে তখন আগুনে বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।”
সহীহ তিরমিযী
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
আততারগীব ওয়াত তারহীব- ৩য় খন্ড (১৫৪১)
collected from brother Zia Monjur
24) জিহাদ ---- আখেরী যামানায় =====>>
হাইওয়াহ ইবনে শুরাইহ আল-হাযরামী......ইবনে হাওয়ালা(রাঃ)
বর্ণিত।
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ(সাঃ)
ইরশাদ করেছেনঃ-"অদূর
ভবিষ্যতে ইসলামী হুকুমাত এমন
বিস্তার লাভ করবে যে,
তোমরা সকলে সংগঠিত
সেনাবাহিনীতে যোগদান করবে;
একটি সেনাবাহিনী সিরিয়ায়,অপরটি ইয়ামানে এবং আরও
একটি ইরাক্বে গঠিত হবে।"
এরূপ
ভবিষ্যতবাণী শুনে ইবনে হাওয়ালা(রাঃ)
জিজ্ঞাস করলেন,
ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ)!
আমি যদি উক্ত সময়টি পাই,
তবে আমার জন্য কোথায় থাকা উত্তম
হবে?
তিনি(সাঃ) বললেনঃ-"তোমার
জন্য সিরিয়ায় থাকা উত্তম হবে।
কারণ তা হবে আল্লাহ তা'আলার
যমিন সমূহের মধ্যে বাছাইকৃত
সর্বোত্তম যমিন। আল্লাহর নেক
বান্দাগণ উক্ত যমিন চয়ন করে নিবেন,
তোমরা যখন তাতে বসতি স্থাপন
করবে তখন তোমাদের ডান দিক
বেঁছে নেবে এবং প্রথমেই পানির
কূপ খননের ব্যাবস্থা করবে।
কারণআল্লাহ তা'আলা আমার
উসিলায় সিরিয়া ও তার
অধিবাসীদের ভরণ পোষণের
দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।"
-সুনানে আবূ দাউদ, খণ্ড ৩,
হাদীসঃ২৪৭৫,ইসলামিক ফাউন্ডেশন
কর্তৃক প্রকাশিত।
No comments:
Post a Comment