Wednesday, October 30, 2013

সুদ আদান প্রদান করলে দুর্নীতি ও দরিদ্রতা বাড়ে

riba is haram
সুদ হারাম 


 সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি


প্রথমেই সুদ ভিত্তিক অর্থনীতির ব্যাংকিং ব্যবস্থার একটি সহজ উদাহরণ দেওয়া যাক যাতে সাধারণ লোকেরা বুঝতে পারে।
এজন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে মানদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হলো :
কেবলমাত্র ব্যাংকগুলো অর্থ (money) তৈরি করে
অতঃপর তৈরিকৃত টাকাগুলো economy তে loan আকারে নির্দিষ্ট সুদের বিনিময়ে ছাড়া হয়
♦ একটি কঠিন সত্য হচ্ছে প্রতিটি সুদী ব্যাংক একই কৌশল অবলম্বন করে। তাই আলোচনার স্বার্থে ধরে নেওয়া যাকে রাষ্ট্রে কেবলমাত্র একটি ব্যাংক রয়েছে যেটা টাকা তৈরি করে এবং economy তে supply করে।
°
ধরা যাক, XYZ নামক একটি ব্যাংক 100,000 ডলার তৈরি করে এবং বাত্‍সারিক 10% সুদ হারে economy তে সক্রিয় কিছু উদ্যোক্তা ও সরকারি units এর কাছে supply করে। মনে রাখা উচিত ব্যাংক ব্যাতীত টাকা তৈরির অন্য কোন মাধ্যম নেই। ব্যাংক প্রতিটি ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে সুদসহ পুরো টাকা পরিশোধের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছে।
এটা অত্যন্ত পরিস্কার ও দৃশ্যমান যে এক বছর শেষে ঐ ঋণগ্রহীতাদেরকে উক্ত ব্যাংকে (10% সুদ হারে) সর্বমোট 110,000 ডলার পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু বাজারে তো কেবলমাত্র 100,000 ডলার available আছে, যেহেতু ব্যাংক ব্যাতীত টাকা তৈরি করার অন্য কোন মাধ্যম নেই। তাহলে অতিরিক্ত 10,000 ডলার কোথা থেকে আসবে ?
কোথাও থেকেই নয়। যেহেতু বাজারে কেবলমাত্র 100,000 ডলার সরবরাহ করা হয়েছিল।
আবারো লক্ষ্য করুন, টাকা তৈরি করার একমাত্র মাধ্যম তথা Bank 10% সুদ হারে বাজারে 100,000 ডলার supply করেছে। কিন্তু বছর শেষে ঋণগ্রহীতাদেরকে সর্বমোট 110,000 ডলার ফেরত দিতে হবে। এটা কিভাবে সম্ভব? কোনভাবেই নয়। যেহেতু অতিরিক্ত 10,000 ডলারের কোন অস্তিত্বই নেই।
এটা হলো ধোঁকাবাজি, প্রতারণা এবং criminal foul play.
এর ফলে কি হবে ?
ব্যাংক থেকে loan নেওয়া ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে সয়ংক্রিয়ভাবে কমপক্ষে এক বা বহুসংখ্যক ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ হারাবে বা ব্যাংকের কাছে সুদের টাকা পরিশোধের নিশ্চয়তা স্বরূপ তারা যা বন্ধক রেখেছে তা হারাবে।
এভাবে প্রতিটি সুদী ব্যাংক প্রতিনিয়ত অনেক ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ছিনিয়ে নেয়।
•|•
এটা হলো একটা eye opening উদাহরণ যাদের Banking mechanism সম্পর্কে পূর্বে কোন ধারণা ছিলনা যা সমাজে কৃত্রিম অর্থসংকট তৈরি করে।
আশকেনাজি ইহুদী নিয়ন্ত্রিত নাসারা অধ্যুষিত U.S.A থেকে শুরু করে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রতিনিয়ত চলছে এই সুদী লেনদেন। এই কৃত্রিম অর্থ সংকটের কারণেই প্রতিনিয়ত ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ছে, মানুষ নিজের অজান্তেই তার সব সম্পদ হারাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে, সাথে সাথে মুসলমানদের জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তাটাও পরিস্কার হচ্ছে
.
ණ সুদী অর্থনীতিতে এই প্রতারণার সাথে অধিকাংশ মানুষ অবগত নয়। এমনকি Nobel prize পাওয়া বিশ্বের সব বড় বড় কথিত অর্থনীতিবিদরাও এ ব্যাপারে অবগত নয়। তাদের ধারণা ঋণগ্রহীতারা এই টাকা কোন না কোনভাবে যোগাড় করে ফেলবে যেটা 100% অবাস্তব।
যারা সুদী লেনদেন করে তারা প্রত্যেকে একেক জন নির্বোধ, দুর্নীতিবাজ এবং বিশ্ব ও ইসলামের দুশমন।
সুদ খাওয়ার আরো অনেক অর্থনৈতিক অপকারিতা আছে যা সংক্ষেপে বলা সম্ভব নয়।
Transparency International এর দুর্নীতি-বিরোধী সদস্যরা গণতন্ত্র তথা কুফরীতন্ত্রে বিশ্বাসী ব্যর্থ রাজনীতিবিদ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোকে প্রায় সময় দুর্নীতি বন্ধ করার আহবান জানায় এবং বিভিন্ন tips দেয়।
কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়, তারা কখনও স্বার্থলোভী, ব্যর্থ রাজনীতিবিদদের এই কথা বলেনা যে সুদী অর্থনীতি বিলুপ্ত করুন, সুদ খেলে দুর্নীতি বাড়ে, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যে বাড়ে, মুল্যস্ফীতি বাড়ে..
উল্টো তারা নিজেরাও সুদ খায়!
তারা বরং ভন্ড অর্থনীতিবিদ Thomas Malthus এর ভান্ত theory অনুযায়ী এই কথা বলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে নাকি দরিদ্রতা বাড়ে (নাউযুবিল্লাহ) এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই কুফরী কথা শিখায়।
কিন্তু তারা এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে China পৃথিবীর ২য় অবস্থানে হওয়া সত্ত্বেও তারা পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম economic power এ পরিণত হলো কিভাবে?
আফ্রিকা মহাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম হওয়া সত্ত্বেও সেখানে না খেয়ে এত মানুষ মারা যাচ্ছে কেন?
যাকাত না দিয়ে সুদী-লেনদের করলেই এমন হয়।
( এর বাইরেও আরো কিছু ইসলামী কারণ আছে যার কারণে কোন জাতি উন্নতি করতে পারেনা এবং রুজিতে বরকত থাকেনা )
পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক এদের সম্বন্ধে বলেছেন, "এদের চোখ আছে কিন্তু দেখেনা, কান আছে কিন্তু শুনেনা, তাদের অন্তরে মোহর মারা, তারা চতুষ্পদ প্রাণী থেকেও নিকৃষ্ট"
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "খিলাফাত বিলুপ্ত (তুরস্ক ১৯২৪) হয়ে যাওয়ার পরে যখন ফিতনার যুগ শুরু হবে তখন মুসলমানেরা তাদের সবচেয়ে বড় দুশমন ইহুদী, নাসারা, বস্তুবাদীদের অনুসরণে গর্ববোধ করবে" (তিরমিযী)
মুসলমানেরা তাদের এমনভাবে অনুসরণ করবে একেবারে ইঞ্চি by ইঞ্চি, cubit by cubit অংশও বাদ যাবেনা। ইয়াহুদী, নাসারা, জড়বাদীরা যদি সাপের গর্তে প্রবেশ করে মুসলমানেরাও তাদের অনুসরণ করবে" (বুখারী)

অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে সমাজে সাম্যবস্থা থাকতে হবে অর্থাত্‍ demand (চাহিদা) ও supply (সরবরাহ) সমান থাকতে হবে। যদি চাহিদা সরবরাহের তুলনায় বেশি হয়ে যায় তাহলে অর্থ ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়। সুদ কৃত্রিমভাবে ঐ অর্থ সংকট তৈরি করে।
সুদখোর আর চোরের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য না থাকলেও সুদখোরেরা হলো মস্তবড় নির্লজ্জ্ব ও নির্বোধ।
তারা দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করার ফলে যে সামগ্রিকভাবে long run এ নিজেরাই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা অনুধাবন করতে পারে না।
সুদের সাথে সর্ম্পৃক্ত সকল নারী-পুরুষের চেহারা কেয়ামতের দিন শুকরের ন্যয় হবে এবং তারা দলবেধে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
হাদীস শরীফ অনুযায়ী আগামী কয়েক শতকের ভিতরেই হারাম কাগজের মুদ্রা (currency) বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং দিনার (Gold) ও দিরহামের (Silver) প্রচলন শুরু হবে যখন মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পারবে এবং কাফের-মুশরিকদের মনগড়া অর্থনীতি পরিহার করতে বাধ্য হবে ।
sent by kazi anab
Collected from FB Page LINK 

Slide Show on Riba

No comments:

Post a Comment