Friday, May 2, 2014

লাইলাতুর রাগাইব

লাইলাতুর রাগাইব  (Night Of Desires) 
আল্লাহর রাসুল সাঃ ------  তিনি তাঁর পিতার ঔরষ হতে মাতৃগর্ভে স্থানান্তরিত ( conception)  হয়েছিলেন যে  রজনীতে  তা পালিত হয়  লাইলাতুর রাগাইব নামে ।  

  


আল্লাহর রাসুল সাঃ ------  তিনি তাঁর পিতার ঔরষ হতে মাতৃগর্ভে স্থানান্তরিত ( conception)  হয়েছিলেন যে  রজনীতে  তা পালিত হয়  লাইলাতুর রাগাইব নামে ।  রজব মাসের পহেলা জুমুয়ার রাত্রটিকে  লাইলাতুর রাগাইব নাম করণ করা হয়েছে ।  লাইলাতুর রাগাইব এর অর্থ  Night Of Desires / Hopes .
তরীকত পন্থীগণ এই রাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন --------->>
"পবিত্র ‘লাইলাতুর রগায়িব’ উনার মধ্যে অসংখ্য-অগণিত আশ্চর্যজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিলো।-
(১) দুনিয়ার এমন কোনো বাদশাহের সিংহাসন ছিলো না, যা ওই রাতে উল্টিয়ে পড়েনি।
(২) উক্ত রাতে প্রতিটি ঘর আলোকময় হয়েছিল।
(৩) সেই রাতে সমস্ত জীব-জন্তু কথা বলতে পেরেছিলো।
(৪) এমনকি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের পশু-পাখিরা পর্যন্ত খুশি ও সুসংবাদ বাণী পরস্পর বিনিময় করেছিলো। (আল বারাহীনুল ক্বতইয়াই ফী মাওলিদি খাইরিল বারিয়াহ, ৭৯) "
C/O, http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=1&textid=7505    LINK


===========================================================

লাইলাতুর রাগায়িব ====>>   LINK

(রগায়িব) শব্দটি رغيب এর বহুবচন। যার অর্থ কাঙ্খিত বিষয়, প্রচুর দান। (মিছবাহুল লুগাত-২৯৮)
পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ কুদরতীভাবে তাশরীফ নিয়েছেন সেই রাতকে ‘লাইলাতুর রাগায়িব’ বলা হয়। মধ্যরাতের পর থেকে ছুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে তিনি তাশরীফ নিয়েছেন। যা তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত বা সময়। আর হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, “তাহাজ্জুদ নামায সময়াপন্তে নিজ আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান খাছ সুন্নত বা সর্বোত্তম সময়।”
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা রজব মাসের প্রথম জুমুয়ার রাতটি গাফলতির সাথে অতিবাহিত করিও না। কারণ ফেরেশতাগণ ওই রাতটিকে ‘লাইলাতুর রগায়িব’ নামে আখ্যায়িত করেছেন।”
আর ওই রাতটি যখন এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয় তখন আসমান-যমীনে যত ফেরেশতা আছে সবাই কা’বা শরীফ-এ এবং তার আশপাশে উপস্থিত হয়। আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সম্বোধন করে বলেন, “হে ফেরেশতাগণ! আপনাদের যা ইচ্ছা তা প্রার্থনা করতে পারেন। আমি অবশ্যই তা কবুল করবো।” ফেরেশতাগণ তখন বলেন, “হে আল্লাহ পাক! আমাদের প্রার্থনা এই যে, যারা রজব মাসে রোযা রাখবে তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিন।” তখন আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলাম।” (গুনিয়াতুত ত্বলিবীন ৩৩১)
মুহইস সুন্নাহ ওয়াল শরীয়াহ মাহিউল বিদয়াত ওয়াদ দলালাহ, কাশিফুল আসরার খফী ওয়াল জলী হযরত মাওলানা শাহ কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব, “বারাহীনুল ক্বতইয়াহ রফী, মাওলিদী খাইরিল বারীয়াহ”-এর ৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “লাইলাতুর রগায়িব’কে শবে বরাত ও শবে ক্বদরের চেয়ে অধিক শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাসম্পন্ন বলে ফতওয়া দিয়েছেন। কারণ রজব মাসের ১লা জুমুয়ার রাতে যেরূপ রহমত, বরকত, বুযূর্গী, সম্মান, দয়া-দান, ইহসান ও সৌভাগ্য সারা কায়িনাত এবং মু’মিনগণ পেয়ে থাকেন, তাদের উপর বর্ণিত হতে থাকে তা অতীতে কোন সময়ে হয়নি এমনকি ক্বিয়ামত পর্যন্ত অন্য কোন সময় তা হবে না। এ কারণে এই রাতকে (লাইলাতুর রাগায়িব) শবে ক্বদর, শবে বরাত হতে অত্যধিক ফযীলতপূর্ণ বলে গণ্য করা অধিক সমুচিত হবে। এ মতের সমর্থনে হক্কানী-রব্বানী আলিমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।” (মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, ১/২৬ পৃষ্ঠা)
‘বারাহিনুল ক্বতইয়াহ ফী মাওলিদি খাইরিল বারিয়াহ’-এর ৭৮ পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ করেছেন, হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত আছে যে, এই রাতে আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে ও হযরত ফেরেশতা উনাদের জগতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, পবিত্রতম নূর দ্বারা সারা কায়িনাত (জগৎ) আলোকিত করে দাও। তাই আসমান-যমীনের সমস্ত ফেরেশতা উনারা মহাখুশিতে বিভোর হয়ে গিয়েছিলেন। সর্বোত্তম জান্নাত জান্নাতুল ফিরদাউসের দরজা খুলে দেয়ার জন্য জান্নাতের দ্বাররক্ষী হযরত ফেরেশতা উনাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সারা কায়িনাতকে বিভিন্ন প্রকার খুশবু দ্বারা সুগন্ধিযুক্ত করার হুকুম ছিল। আকাশের সকল স্তরে এবং পৃথিবীর সকল ঘরে ঘরে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে যে, “নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ রাতে উনার আম্মা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ নিবেন। কেনই বা হবে না? তিনি তো সবকিছুর মূল। অর্থাৎ উনাকে উপলক্ষ করে সারা কায়িনাতের সবকিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তিনি সব রহমত, বরকত, মাগফিরাত সাকীনা, সম্মান, মর্যাদা-মর্তবা, নূর, গুপ্ত রহস্যাবলী, হাক্বীক্বত, মারিফাত, মুহব্বত জাহির বা প্রকাশিত হওয়ার মূল উৎস। গোটা সৃষ্টি জগৎ উনার অজুদ বা মুবারক অস্তিত্ব হতে আরম্ভ হয়েছে এবং যিনি সমস্ত আদম জাতির মূল। তিনি অচিরেই দুনিয়াতে তাশরীফ নিবেন। সারা কায়িনাতকে তিনি সম্মান-মর্যাদা দ্বারা খুশি ও আনন্দ দ্বারা পূর্ণ করবেন।” (মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, ১/১৯, সীরাতে ইবনে হিশাম, ১/১৪৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত আছে যে, “লাইলাতুর রগায়িব এবং ঊষাকালে সকল মূর্তি উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াতে তাশরীফ আনয়নের দিন যেভাবে শয়তানগুলোকে আকাশে উঠার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ‘লাইলাতুর রগায়িব’ মধ্যেও ঠিক সেই ধরনের অসংখ্য-অগণিত আশ্চর্যজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। দুনিয়ার এমন কোন বাদশাহের সিংহাসন ছিল না, যা ওই রাতে উল্টিয়ে পড়েনি। উক্ত রাতে প্রতিটি ঘর আলোকময় হয়েছিল। সেই রাতে সকল জীব-জন্তু কথা বলতে পেরেছিল। এমনকি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের পশু-পাখিরা পর্যন্ত খুশি ও সুসংবাদ বাণী পরস্পর বিনিময় করেছিল। (আল বারাহীনুল ক্বতইয়াই ফী মাওলিদি খাইবিল বারিয়াহ, ৭৯)
তিনি সেখানে আরো উল্লেখ করেন যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মা সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনার রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ আনার পূর্বে কুরাইশরা বড় কঠিন দুর্ভিক্ষ ও অভাবে কষ্ট পেতে ছিল। বৃষ্টির অভাবে গাছের পাতাগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল। আর সমস্ত জীব-জন্তু এবং গৃহপালিত পশু-পাখিগুলো অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ আনার সাথে সাথে আমূল পরিবর্তন হয়ে গেল। আল্লাহ পাক তিনি মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করলেন। রহমতের বৃষ্টি সকল গাছপালা, তৃণ লতাকে নতুনভাবে সবুজ ও তরুতাজা করে দিল। (মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া, ১/১৯, সীরাতে হালাবিয়া ১/৪৮, বারাহীনুল ক্বতইয়াহ ৮১, সীরাতে ইবনে হিশাম, ১/১৪৫)
‘আল বারাহীনুল ক্বতইয়াই ফী মাওলিদি খাইবিল বারিয়াহ’ কিতাবে আরো উল্লেখ করেছেন যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আম্মা সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “আমি সে সময় ঘুম ও জাগ্রতের মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। এমন সময় একজন লোক এসে আমাকে বললেন, আপনি সন্তান সম্ভবা হয়েছেন। আমি এর পূর্বে সন্তান সম্ভবা হওয়া সম্পর্কে কিছু জানতাম না। সে লোক আরো বললেন, হে হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম! আপনি মানব জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব উনাকেই রেহেম শরীফ-এ ধারণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
অপর বর্ণনায় এসেছে, সমস্ত সৃষ্টির সর্বোত্তম ব্যক্তিত্ব অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার পরেই উনার স্থান উনাকেই আপনি রেহেম শরীফ-এ ধারণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো বলেন, সেই দিনই আমার বিশ্বাস হয়েছে যে, আমি সন্তান সম্ভবা। (আল বারাহিনুল ক্বতইয়াহ, ৮৪)
হযরত আবূ নাঈম ইস্পাহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মাতা উনার রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ আনয়নের দিনের নিদর্শন হচ্ছে যে, সেই রাতে কুরাইশদের সমস্ত গৃহপালিত পশুগুলি একটি অন্যটির নিকট বলাবলি করেছিল যে, কা’বা শরীফ-এর রব উনার কসম! এই রাতে এমন একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাতার রেহেম শরীফ-এ আনা হয়েছে যিনি হচ্ছেন- সমস্ত কায়িনাতের ইমাম এবং দুনিয়াবাসী সকলের আলোর দিশারী তথা পথ প্রদর্শক। (আর বারাহীনুল ক্বাতইয়াহ ৮৩)
==================================
"Laylat al-Ragha’ib in Arabic, is a holy night in Islam commemorating the conception of the Prophet Muhammad. Tonight is regarded as the holy time to be forgiven, mercy and time for prays to be accepted by God. Muslim spirits are covered with a different atmosphere in this phase of time, which is known as Shuhur ath-Thalatha – Three Holy Months – in religious literature because, divine mercy is at its merit within these months. If merits and religious services are rewarded tenfold in other times, they are rewarded more and more in the months of Rajab, Sha’ban and Ramadan. "======>>
http://sugraphic.com/fotograf_goster.php?4730-laylat-al-raghaib-beginning-of-three-holy-months   LINK
===================================================================


লাইলাতুর রাগাইব পালন করা সম্পর্কে মুফতী তকী উসমানীর বক্তব্য ===>>

(( রজব মাসের পহেলা জুমুয়ার রাত্র ---- ১ লা মে'র (২০১৪ সন ) দিবাগত রাত্র )) - - - -

THE SALAH OF "RAGHA'IB"

Another special mode of worship attributed by some people to this month is the Salah of Ragha'ib. According to the custom of such people, this salah is performed in the night of the first Friday of the month of Rajab. The Salah of Ragha'ib is said to consist of twelve rak'ats to be performed in pairs with six salams, and in each rak'at the Surah al-Qadr is recited three times followed by the Surah al-Ikhlas.


This type of salah is also not based on any sound source of Shari'ah. Therefore, almost all the jurists and scholars of Shari'ah have held that the Salah of Ragha'ib is a baseless practice and it is not permissible as a recognized practice of this month. It is true that there is a tradition, narrated by Razin, the author of a book of hadith, which attributes the origin of this practice to the Holy Prophet (sallallahu alayhi wasallam) but almost all the scholars of the science of hadith have held it to be absolutely unauthentic. Therefore, no importance can be attached to it.  ===>
C/O, LINK   http://www.sunniforum.com/forum/showthread.php?72959-The-1st-Friday-night-of-Rajab-night-of-Raghaib

No comments:

Post a Comment