রফে ইয়াদাইন করা / না করা দুটি -ই সুন্নাহ
কুফার অধিবাসীর কেউই --- তিনি মুহাদ্দিস হওন বা ফকীহ ---'রফে ইয়াদাইন' করতেন না। আর কুফা এমন-ই এক শহর যেখানে কমপক্ষে ৫০০ সাহাবী বসবাস করতেন বলে সর্বজন স্বীকৃত । এদিকে আল্লামা আজালী রাহঃ এর মতে কমপক্ষে ১৫০০ সাহাবী কুফায় বসবাস করতেন। এর মধ্যে আবার ৭০ জন বদরী এবং ৩০০ জন বায়াতে রেজওয়ানের ছিলেন । এঁরা সবাই তাকবীরে তাহরিমার সময় হাত উঠাতেন , অন্য কোথাও নয় ।
---------- (তোহফায়ে আহলে হাদীস , পৃ-৩৫, টীকা )
কিছু ভুল ধারনার অপনোদন :
অনেকে বলে থাকেন ইমাম বুখারী (রহ:) বলেছেন “রফে ইয়াদাইন” না করার কোনো সহীহ হাদিস নাই । এর উত্তর হোলো , অনেক প্রখ্যাত মুহাদ্দিস প্রমান করে দিয়েছেন যে ইমাম বুখারী (রহ:) এর উক্তি সহীহ নয় । মোল্লা আলি কারী (রহ:) এর মাওযুআতে কবীর ও এর মধ্যে পড়বে ।
আর একটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো , অনেকে আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী (রহ:) এর এই বাক্যটি উল্লেখ করে থাকে “রফে ইয়াদাইন এর হাদিস সনদগত ভাবে মুতওয়াতির” কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় উনার অন্য বাক্যটি তারা উল্লেখ করে না “রফে ইয়াদাইন” না করার আমলটি আমলীগতভাবে মুতওয়াতির” ।
যে আমল যে পরিমাণ অধিক হয়, তার রেওয়ায়েত-ও সে পরিমাণ হ্রাস পায়। কেননা অবিচ্ছিন্ন আমল-ধারা নিজেই একটি বড় শক্তিশালী দলিল এবং এ ক্ষেত্রে রেওয়ায়েতের -ও খুব একটা দরকার পরে না ------তোহফায়ে আহলে হাদীস , পৃ-৩৬
যে আমল যে পরিমাণ অধিক হয়, তার রেওয়ায়েত-ও সে পরিমাণ হ্রাস পায়। কেননা অবিচ্ছিন্ন আমল-ধারা নিজেই একটি বড় শক্তিশালী দলিল এবং এ ক্ষেত্রে রেওয়ায়েতের -ও খুব একটা দরকার পরে না ------তোহফায়ে আহলে হাদীস , পৃ-৩৬
No comments:
Post a Comment